কক্সবাজারের রামুতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে গরু চোরাকারবারিদের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ব্যক্তির নামসহ অজ্ঞাত ২৫০ জনকে আসামি করে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। আজ সোমবার সকালে বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ ব্যাটালিয়নের সদস্য হাবিলদার মো. মোহাইমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন।
মামলা দুটি নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে জানান রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল হোসাইন। তিনি বলেন, ‘সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও হতাহতের ঘটনায় একটি এবং চোরাচালান আইনে আরেকটি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। মামলায় সংঘর্ষে নিহত আব্দুর জব্বারের নামসহ ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।’
জানা গেছে, গত শনিবার রাতে রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের পূর্ব কাউয়ারখোপ এলাকায় মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা গরুর একটি চালান জব্দ করে বিজিবি। এ সময় পাচারকারীরা জব্দ করা গরুগুলো ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তাঁরা বিজিবির সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। তখন আত্মরক্ষার্থে বিজিবির সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলে একজন নিহত এবং তিনজন আহত হন।
নিহত আব্দুর জব্বার (৪০) কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কাউয়ারখোপ এলাকার মৃত জাকের আহমদের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি নির্মাণ সামগ্রীর দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
বিজিবির দাবি, সংঘর্ষে চোরাকারবারি দলের ২০০ থেকে ৩০০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এই ঘটনায় বিজিবির চার সদস্য আহত হন। নিহত আব্দুর জব্বার গরু চোরাকারবারি দলের সদস্য। ঘটনাস্থল থেকে সংঘর্ষে ব্যবহৃত কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।