হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

ব্যবসায়ীকে আটকে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ কাদের মির্জার বিরুদ্ধে

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে এবার এক ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে।
 
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জা তার ৩০-৪০ জন অনুসারী নিয়ে ‘সত্তার বেকারিতে’ এসে বেকারিটির মালিক আবদুল ওহাবকে (৫৪) ঘুষি মারেন। পরে নিজের অনুসারীদের নির্দেশ দেন ওহাবকে তুলে নিয়ে যেতে। অনুসারীরা তাকে টেনে-হিঁচড়ে  বেকারি থেকে তুলে বসুরহাট পৌরসভায় নিয়ে যায়। 

ভুক্তভোগী আবদুল ওহাব জানান, বেকারি থেকে তুলে নেওয়ার পর তাকে পৌরসভার দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি এবং জুমার নামাজের একটু আগে তাঁর কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেয় মির্জার অনুসারীরা। 

স্থানীয়রা জানান, বসুরহাট বাজারের ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যবসা করে আসছেন আবদুল ওহাবকে। তিনি ও তাঁর পুরো পরিবার স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং মেয়র কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ অনুসারী ছিলেন।

আবদুল ওহাব বলেন, `কিছুদিন আগে মেয়র কাদের মির্জা আমাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটি খাস জায়গায় বলে অভিযোগ তোলেন। এরপর হঠাৎ করে গত ১৫-২০ দিন আগে তিনি তাঁর লোকজন নিয়ে এসে প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দেন। এর চার দিন পর ডেকে নিয়ে চাবি দিয়ে দেন। অথচ ১৯৬৯ সালে ৪ শতক জায়গা কিনে সেখানে সাত্তার বেকারি প্রতিষ্ঠা করা হয়। আমাদের জায়গার সব কাগজপত্র ঠিক রয়েছে। কিন্তু বিগত রেকডের্র সময় ভুলে আমাদের নামটি বাদ যায়। আমরা রেকর্ডের বিরুদ্ধে মামলা করি। এ নিয়ে গত চার-পাঁচ বছর রেকর্ডের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলছে। এসব কাগজপত্র আমরা পৌরসভায় জমা দিয়েছি।' 

তুলে নেওয়ার  বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়র কাদের মির্জার অনুসারীরা জোরপূর্বক ব্যবসায়ী আবদুল ওহাবের একটি বক্তব্য ধারণ করে একটি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করেন। সেখানে আবদুল ওহাবকে বলতে শোনা যায়, `মেয়র মহোদয় আমার নিকট থেকে চাঁদা দাবি করেনি এবং আমাকে মারধরও করেনি। একটি মহল চক্র বিভ্রান্তি করছে, এটা থেকে আপনারা দূরে থাকুন।' 

এ নিয়ে ব্যবসায়ী আবদুল ওহাবের ভাতিজা তানভীর মাহমুদ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি লেখেন, `আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যদি আমাদের কোনো  প্রকার ক্ষয়ক্ষতি হয়, তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় প্রতিনিধি দায়ী থাকবে।' 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে শুক্রবার রাত ৯টায় একাধিকবার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার ফোনে কল করা হলে ফোন ব্যস্ত পাওয়া যায়। 

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, `বিষয়টি আমি মৌখিকভাবে শুনেছি। তবে আমাদের কাছে কেউ কোনো  লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

পাহাড় কাটা নিয়ে টম অ্যান্ড জেরি খেলতে পারব না: পরিবেশ উপদেষ্টা

ফেনী পলিটেকনিক ছাত্রাবাসে থাকার জন্য লাগবে ডোপ টেস্ট সনদ

বাঁশখালীতে আগুনে ৯ দোকান পুড়ে ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি

বিষাক্ত গ্যাস শোধন পদ্ধতি ‘উদ্ভাবন’ খুদে শিক্ষার্থীদের

বেগমগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব, যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা

লক্ষ্মীপুরে যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম, অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবক দলের বিরুদ্ধে

চট্টগ্রামে পাহাড়ের জমি থেকে দখলদার উচ্ছেদ

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প পরিদর্শনে তিন উপদেষ্টা

৩৪ মাস ধরে পরিত্যক্ত ভবনে ইউএনও, রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ

টেকনাফের পাহাড়ে আবারও বন্য হাতির মৃত্যু

সেকশন