চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায় বড় তাকিয়া স্টেশন এলাকায় ট্রেন ও পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসের সংঘর্ষের সময় দায়িত্বরত গেটম্যান সাদ্দাম হোসেন ছিলেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই সময় লেবেল ক্রসিংয়ের বাঁশও (গেটবার) ফেলানো অবস্থায় ছিল না। ফলে ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জন নিহত হয়েছেন। এদিকে এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে।
আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ২টায় বড় তাকিয়া স্টেশন থেকে একটু দূরে খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় ট্রেনের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেখানে থাকা লেভেল ক্রসিংটি রেলওয়ের অনুমোদিত ছিল। গেটম্যান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন সাদ্দাম হোসেন। কিন্তু ঘটনার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী মাহিদুল ইসলাম রবিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুর্ঘটনার সময় লেভেল ক্রসিংয়ের বার ফেলা ছিল না। গেটম্যানও ওই সময় ছিলেন না। ফলে বুঝতে না পেরে খৈয়াছড়া ঝরনা থেকে গোসল করে ফেরার পথে পর্যটকবাহী ওই মাইক্রোবাস রেললাইনে উঠে যায়। লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় চট্টগ্রামমুখী মহানগর প্রভাতী ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে যায় মাইক্রোবাসটি।’
তবে গেটম্যান সাদ্দাম হোসেনের দাবি, তিনি ছিলেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাইক্রোবাসটি সিগন্যাল না মেনে রেললাইনে উঠে যায়।’
এদিকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনসার আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমাকে এ তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনার সময় গেটম্যান ছিলেন না। তবে গেটম্যান আমাদের কাছে দাবি করেছেন যে তিনি উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে দ্রুত সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।’