সাত বছর আগে রামদায় শাণ দেওয়ার ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর সাধারণ জীবনে ফিরে এসেছেন বলে দাবি করেছেন ছাত্রলীগের সদ্যঘোষিত কমিটির দুই সহসভাপতি মোফাজ্জল হায়দার ইবনে হোসাইন ও মো. মিজানুর রহমান খান। গত ৩১ জুলাই রাতে ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে দুজন পদ পাওয়ার পর তাঁদের রামদায় শাণ দেওয়ার বিষয়টি পুনরায় আলোচনায় আসে।
এ নিয়ে গত ২ আগস্ট আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘রামদায় শাণ দিয়ে তাঁরা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পর দুজন আজকের পত্রিকার চট্টগ্রাম কার্যালয়ে বিবৃতি পাঠিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানান।
বিবৃতিতে মোফাজ্জল হায়দার ইবনে হোসাইন ও মো. মিজানুর রহমান খান লিখেছেন, ‘২০১৫ সালের ২ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠিত একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ওপর ভিত্তি করে আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আমাদের নজরে এসেছে। আগের ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হওয়ায় তখন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের বহিষ্কার করা হয়, যার কারণে আমাদের একাডেমিক শাস্তি মেনে নিতে হয়। কিন্তু পরবর্তীতে উক্ত ঘটনা তদন্ত করে পুলিশ আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা পায়নি। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের করা মামলার অভিযোগপত্র থেকে আমাদের নাম বাদ দেয় পুলিশ।’
এর পর থেকে সাধারণ জীবনযাপন করছেন জানিয়ে বিবৃতিতে ছাত্রলীগের এই দুই নেতা আরও লেখেন, ‘ওই ঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মরীতি মেনে আমরা পড়াশোনা, রাজনীতি করে সাধারণ জীবনযাপন করে আসছি। এ অবস্থায় পূর্বে কৃত অপরাধের শাস্তি ভোগ করার পরও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির প্রাক্কালে এই সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় আমাদের ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে একটি পক্ষ এমন ‘অপপ্রচার’ চালাচ্ছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন চবি ছাত্রলীগের সদ্যঘোষিত কমিটির এ দুই সহসভাপতি।