রাঙামাটি প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ির পানছড়ি থানায় হওয়া মানবপাচার মামলা প্রত্যাহার করতে বাদীকে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা মো. রবিউল হোসেনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
মামলার সূত্র জানা গেছে, গত ১ জুন প্রলোভন দেখিয়ে চীনে নেওয়ার কথা বলে বাদীর নাবালক বোনকে ঢাকায় নেওয়া হয়। পরদিন পানছড়ি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। জিডিতে পানছড়ি থানা-পুলিশ অভিযানে গেলে ঢাকার উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের সাবদার হোসেন রোডের পিংক সিটির হরিজেন্টাল-১ ডুপ্লেক্স ২ নম্বর বাড়ি থেকে বাদীর বোনসহ চীনের পাচারের অপেক্ষায় থাকা আরও ৫ কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। কিশোরীদের আটকে রাখার অভিযোগে আটক করা হয় সুমি চাকমা ওরফে হেলি ও তাঁর চীনা স্বামী জিসাও সুহুইকে।
পুলিশ সুমি ও তার স্বামীকে পানছড়িতে এনে ভুক্তভোগীর বোনের সম্মতি নিয়ে মামলা গ্রহণ করে। ওই মামলা তদন্ত করছে পুলিশ। পরে সুমি নিজেকে অন্তঃসত্ত্বা দাবি করলে আদালত সুমীর জামিন মঞ্জুর করেন। এ জামিনের বিষয়ে অভিযোগ ছিল আওয়ামী লীগ নেতা ও জেলা পরিষদের সদস্য আশুতোষ চাকমা জামিনে বড় ভূমিকা রাখেন। সরকার পরিবর্তনের পর বর্তমানে আশুতোষ একাধিক মামলার আসামি এবং পলাতক আছেন।
মামলার বাদী নীলা চাকমা বলেন, ‘রবিউল হোসেন আমাকে মোবাইলে মামলা প্রত্যাহারের জন্য বারবার চাপ সৃষ্টি করছেন, ভয় দেখাচ্ছেন। আমার মামা ও ইউপি সদস্যকেও চাপ দিচ্ছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রবিউল কোনো সদুত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন। পানছড়ি থানায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রবিউলকে কিছুদিন আগে ঢাকায় বদলি করা হয়েছে।
পানছড়ি থানায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রবিউল এখন পানছড়ি থানায় কর্মরত নেই। তাঁকে ঢাকায় বদলি করা হয়েছে কিছুদিন আগে।
যোগাযোগ করা হলে পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দীন বলেন, ‘রবিউল মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাদীকে চাপ সৃষ্টি করছে, বিষয়টি আমার জানা নেই। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে সানাউল্লাহ মিয়া।’
সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, আমি মামলাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছি। আমার পক্ষ থেকে বাদীকে কোনো চাপ সৃষ্টি করিনি। শিগগিরই আদালতে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র জমা দেব। সে লক্ষ্যে কাগজপত্র গুছিয়ে আনছি।