টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফের দমদমিয়া এলাকায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে র্যাব ২০ হাজার ইয়াবা বড়ি, একটি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করেছে করেছে। এ ছাড়াও নাফ নদীর কায়উকখালী ঘাটে ভাসমান আরেকটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ সোমবার ভোর ৪টা ও সকাল ৮টার দিকে পৃথক স্থান থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান।
র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত যুবক হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দু রহিমের ছেলে মো মুবিন (৩০)। তবে নাফ নদী থেকে ভাসমান মরদেহটির নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি। তাঁর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।
ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ভোররাতে র্যাব টেকনাফ থানায় ফোন করে জানায় মাদক কারবারির সঙ্গে তাদের বন্দুক যুদ্ধ হয়েছে। এতে এক মাদক কারবারি মারা গেছেন। টেকনাফের দমদমিয়া এলাকায় নাফ নদীর কিনারে মরদেহটি পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তাঁর বুকে গুলির চিহ্ন রয়েছে। শরীরের সামনের অংশের শার্টটি রক্তমাখা।’
ওসি আরও বলেন, অন্যদিকে টেকনাফের নাফ নদীর কায়ূকখালী ঘাট লামারবাজার এলাকায় ব্রিজের নিচে ভাসমান একটি মরদেহ দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেয়। পুলিশের দল গিয়ে তা উদ্ধার করে। তাঁর পরিচয় মেলেনি। বয়স আনুমানিক ৪৫-৫০ বছর হতে পারে।’
মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরিচয় শনাক্তেরও চেষ্টা চলছে বল জানিয়েছেন ওসি হাফিজুর রহমান।
কক্সবাজার র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল উদ্দিন জানান, মাদক কারবারির সঙ্গে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে ২০ হাজার ইয়াবা বড়ি, একটি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, হোয়াইক্যংয়ে বেশ কিছু মাদক কারবারি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা নামে–বেনামে অগাধ সম্পত্তি গড়ে তুলছে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তের এমন পরিস্থিতিতেও চিংড়িঘেরের নাম দিয়ে মিয়ানমারে যাতায়াত অব্যাহত রেখেছে। তাদের একমাত্র কাজ মাদক করবার। তাদের নামে স্বর্ণ চোরাচালান, ইয়াবা মামলা ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্তও।
এসব মাদক কারবারিদের নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে মাদক ব্যবসা কিছুতেই কমবেনা বলে জানান স্থানীয়রা। পাশাপাশি সীমান্ত অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটতে পারে বলেও জানান তারা।