ঢাকার বেইলি রোডে বহুতল ভবনের অগ্নিকাণ্ডে নিহত ফাইরুজ কাশেম জামিরাসহ (৪) তার মা-বাবাকে পাশাপাশি কবরে দাফন করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুর ১২টার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার মরিচ্যা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে তাঁদের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
মা-বাবার সঙ্গে খাগড়াছড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল ছোট্ট ফাইরুজের। গত বৃহস্পতিবার রাতে বাসের টিকিটও কাটা ছিল। কিন্তু কে জানে, বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে মৃত্যু তাঁদের অপেক্ষা করছে।
বেইলি রোডের সেই ভবনে রাতের খাবার খেতে মা মেহেরুন্নেছা হেলালী মিনা (২৪) ও বাবা শাহজালাল উদ্দিনের (৩৪) সঙ্গে রেস্তোরাঁয় যায় সে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সেখানেই তিনজনের মৃত্যু হয়। এক দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পড়ে থাকার পর গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করেন ফাইরুজের নানা মোক্তার আলম হেলালী।
গতকাল///// শনিবার রাতে ৯টার দিকে ফাইরুজদের মরদেহ নিয়ে লাশবাহী গাড়িটি প্রথম নানার বাড়ি কক্সবাজারের রামু উপজেলার চাকমারকূলে আনা হয়। তখন ফাইরুজদের নানার বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনেরা ভিড় করছিলেন। পরে রাতে সাড়ে ১১টার দিকে উখিয়া উপজেলার পশ্চিম মরিচ্যায় দাদার বাড়িতে লাশবাহী গাড়িটি পৌঁছায়। ফাইরুজের বাবা শাহজালাল উদ্দিন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেমের সন্তান। নাতনি, ছেলে ও ছেলের বউয়ের মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছেন বৃদ্ধ আবুল কাসেম।
কেরানীগঞ্জের পানগাঁও কার্যালয়ে শুল্ক বিভাগে কর্মরত ছিলেন শাহজালাল উদ্দিন। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসুন্ধরা রিভারভিউ এলাকায় থাকতেন।
শাহজালালের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম ও শ্বশুর মুক্তার আলম হেলালী আদরের নাতনি ও সন্তান হারিয়ে বাকরুদ্ধ। তাঁরা সন্তান ও নাতনির জন্য দোয়া চেয়েছেন।
হলদিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, বেইলি রোডের ট্র্যাজেডিতে শাহজালালের পুরো পরিবার শেষ হয়ে গেল। ভবিষ্যতে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আর যেন প্রাণহানি না হয়, সে বিষয়েই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।