নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সঠিক খাদ্য যিনি গ্রহণ করেন তার হাসপাতালে যাওয়ার দরকার হয় না। এমনকি তার ওষুধ খাওয়ারও প্রয়োজন হয় না। ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এ কথা বলেন।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রশিক্ষণ কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘বিশ্বে প্রতিদিন ১০ জনে একজন খাদ্যে বিষক্রিয়ার শিকার হচ্ছেন। পৃথিবীতে বছরে প্রায় চার লাখ ৫০ হাজার মানুষ খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মারা যাচ্ছেন। খাদ্যে বিষক্রিয়া যেকোনো পর্যায়ে যেতে পারে।’
খাদ্যে বিষক্রিয়ায় একবার তার নিজেরই হঠাৎ করে ব্লাড প্রেশার অনেক বেড়ে গিয়েছিল বলে জানান তিনি।
ঢাবির সাবেক উপাচার্য বলেন, ‘রেফ্রিজারেটরে রাখা খাবার এটা কি মাসের পর মাস পর্যন্ত ঠিক থাকবে? এর মান কি ঠিক থাকবে? এই বিষয়গুলোই হচ্ছে বিজ্ঞান।’
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর নানা বিষয়ে কাজ করছে। রাজধানীর গুলশান বনানীতে বড় বড় হোটেলগুলোতেও আজে বাজে খাদ্য সরবরাহ করায় তাদের জরিমানা করা হচ্ছে। দুই একদিন পর আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায়।’
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো আব্দুল কাইউম সরকারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিভির মাটি ও মানুষের উপস্থাপক রেজাউল করিম সিদ্দিক। আরও বক্তব্য দেন কৃষি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি গোলাম ইফতেখার মাহমুদসহ আরও অনেকে। পরে কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।