পরীক্ষা দিতে আসা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকে মারধর করে পুলিশের দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার বিকেলে নরসিংদী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পুলিশ লাইন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার সুমিত সরকার (২২) নরসিংদী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার বিভাগের ৮ম পর্বের শিক্ষার্থী ও একই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি গাজীপুরের কালিগঞ্জ এলাকার রাজকুমার সরকারের ছেলে। নরসিংদী সদরের দগরিয়া এলাকার একটি মেসে থেকে পড়াশোনা করতেন।
পুলিশে সোপর্দ করার বিষয়টি আজ রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ নিহার রঞ্জন দাস।
অধ্যক্ষ বলেন, ‘পরীক্ষা শেষে এক ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে শুনেছি। তারই ২০-২৫ জন সহপাঠী এসে আমাকে ঘটনাটি জানায়। পরে আমি পুলিশকে ফোন করলে তারা জানান বিষয়টি রাজনৈতিক।’
মারধর করে পুলিশে দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাকে মারধর করার ঘটনা ঘটেছে কী না আমি নিশ্চিত নই, ঘটেও থাকতে পারে। তবে তার সহপাঠীদের বরাতে জানলাম ছেলেটি রাজনীতি করলেও অত্যন্ত নম্র, ভদ্র। কোনোরূপ অশুভ কাজে জড়িত ছিল না। ঘটনাটি আমার খারাপ লেগেছে। এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে সকলেই আমার শিক্ষার্থী। তবে আজকে তার শেষ পরীক্ষা ছিল বলে পরীক্ষার কোনো ক্ষতি হবে না।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদসহ ছাত্রদলের একাধিক নেতাকে কল করলে তাঁদের ধরেননি। এদিকে ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রদলের কমিটি নেই।
এ বিষয়ে নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন বলেন, ‘সুমিত পরীক্ষা শেষে হল থেকে বের হয়ে বাসায় ফেরার সময় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা তার পথ আটকে বেধড়ক মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এর আগে তার নামে কোনো মামলা কিংবা অভিযোগ ছিল না। সে অত্যন্ত ভালো ছেলে। এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’
নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, সে গত ২ জানুয়ারি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের মিছিলে অংশগ্রহণ করে। তার বিরুদ্ধে আজ পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেছে। ছাত্রদল নেতা–কর্মীরা মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বিষয়টি এমন নয়।