নিজস্ব প্রতিবেদক ও সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ১৭টি কারখানা উৎপাদন বন্ধ। এর মধ্যে নয়টি কারখানা আগে থেকেই বন্ধ ছিল। নতুন করে আজ বৃহস্পতিবার আটটি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজকে ১৭টি কারখানায় উৎপাদন বন্ধ থাকলেও শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পুরো শিল্পাঞ্চল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছে। সেনাবাহিনী, র্যাব ও শিল্প পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে।’
সূত্রে জানা যায়, শ্রম আইনের ১৩ (১) অনুযায়ী গত বুধবার ১৪টি কারখানা বন্ধ ছিল। এর মধ্যে আজ পাঁচটি চালু হলেও একই আইনে বন্ধ হয় আরও নয়টি কারখানা। শ্রমিকেরা কাজ না করায় এবং নানা অভ্যন্তরীণ কারণে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে আটটি কারখানা।
এদিকে আট কারখানায় শ্রমিকেরা উপস্থিত হয়ে কাজ না করলেও শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কোন কারখানার শ্রমিক রাস্তায় নামেনি এবং বিক্ষোভ করতে দেখা যায়নি। শিল্পাঞ্চল এলাকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পোশাক শ্রমিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমানে যেসব কারখানায় সমস্যা হচ্ছে, তা বড় কোন সমস্যা নয়। মালিকপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে আন্তরিকতার সঙ্গে আলোচনা করলেই এসব সমস্যা দূর হয়ে যাবে।’
গার্মেন্টস ও সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের নেতা খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, ‘যেসব কারখানায় সমস্যা হচ্ছে, তা টিকিয়ে রাখছেন কারখানাগুলোর মালিকেরা। মালিকপক্ষ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে পারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, শ্রমিক নেতা এবং সরকারের পক্ষে এসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়।’
খায়রুল মামুন মিন্টু আরও বলেন, ‘সরকার ঘোষিত ১৮ দফা দাবি শ্রমিকেরা মেনে নিলেও ডেকো নামে একটি পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হচ্ছে না। সরকার ছাঁটাই বন্ধে আশ্বাস দেওয়ার পরেও অনন্ত, পার্ল ও সিনসিনসহ কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হয়েছে। এসব কারণে কারখানাগুলোতে সমস্যা রয়ে গেছে।’