পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালিত হতে যাচ্ছে বাংলা নববর্ষ-১৪২৯। নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে পয়লা বৈশাখ দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রকাশনা উৎসবসহ নানা আয়োজন থাকছে এবারের অনুষ্ঠানমালায়। মঙ্গল শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।
মঙ্গল শোভাযাত্রার এবারের প্রতিপাদ্য ‘প্রকৃতি’। শোভাযাত্রাটি সকাল সাড়ে ৯টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার মোড় হয়ে আবার ক্যাম্পাসে ফিরে আসবে। পাখির প্রতিকৃতি তুলে ধরা হবে শোভাযাত্রায়। এ ছাড়া, বড় আকারের ফুল, মৌমাছি, পাতা ছাড়াও বাঘ ও প্যাঁচার মুখোশ স্থান পাবে।
শোভাযাত্রা শেষে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ ‘মুজিব মঞ্চে’ অনুষ্ঠিত হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় নৃত্য ও দলীয় সংগীত, লোক সংগীত। এ ছাড়া, রয়েছে ‘মনের মানুষ’ এবং ‘ট্রাভেলার্স’ ব্যান্ড দলের অংশগ্রহণে সংগীত পরিবেশনা।
এ ছাড়া, দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় ‘প্রকাশনা প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠিত হবে। পুরান ঢাকার ঐতিহ্য ধরে রাখতে ব্যবসায়ী সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ এতে অংশগ্রহণ করবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি আসফিকুল ইসলাম আশিক বলেন, ‘বাঙালির আদি সাংস্কৃতিক পরিচয় বহনকারী এ অসাম্প্রদায়িক উৎসব বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদের জন্য প্রেরণা। ধর্ম-সম্প্রদায় নির্বিশেষে বাংলা নববর্ষের এ ঐতিহ্য মাটি ও মানুষের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিতে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন।’
চারুকলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বজলুর রশীদ খান বলেন, ‘দুই বছর পর কেন্দ্রীয়ভাবে নববর্ষ উদ্যাপন করা হবে। আমাদের মূল প্রতিপাদ্য প্রকৃতি। পাখি আর ফুলের অবয়ব তৈরিতে আমাদের শিক্ষার্থীরা কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের মুখোশ তৈরি করছি যেগুলো মঙ্গল শোভাযাত্রায় উপস্থাপন করা হবে।’