হোম > সারা দেশ > ঢাকা

মমতাজের ২ কর্মীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের মামলা

হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসনে পরাজিত নৌকার প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে হরিরামপুর থানায় মামলাটি করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ গোলাম রাশেদ। 

আজ বুধবার সকাল ৯টার দিকে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ নুর এ আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। সেখানে ফরিদ মোল্লা এবং রিফাত চৌধুরী নামে দুজনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে এ মামলা দায়ের করা হয়।’ 

নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ না করায় উপজেলার গালা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. শাখাওয়াত হোসেনকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এই মামলার নির্দেশ দেয় ইসি। 

মামলার আসামিরা হলেন হরিরামপুর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরিদ মোল্লা এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিফাত চৌধুরী। তাঁরা দুজনেই দলীয় প্রার্থী মমতাজ বেগমের কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। 

গত ১১ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের আদেশক্রমে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (আইন) মো. আব্দুছ সালাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে থানায় এজাহার দায়ের করতে বলা হয়। 

ইসির চিঠিতে বলা হয়, মানিকগঞ্জ-২ নির্বাচনী এলাকার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থক ফরিদ মোল্লা ও রিফাত চৌধুরী গত ২৬ ডিসেম্বর নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণে অস্বীকার করায় মো. শাখাওয়াত হোসেনকে শারীরিকভাবে আঘাত করেছেন এবং প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেছেন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৭৭ বিধান লঙ্ঘন করেছেন মর্মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এমতাবস্থায়, তাঁদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৭৩-এর অধীনে অনতিবিলম্বে সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার দায়েরের জন্য নির্বাচন অফিসারকে অনুরোধ করা হলো। 

মামলার বাদী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ গোলাম রাশেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে দুজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।’ 

এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর মোল্লা ফরিদ ও রিফাত চৌধুরীসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জনের নামে হরিরামপুর থানায় প্রাণে মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগে মামলা করেন ইউপি সদস্য মো. শাখাওয়াত হোসেন। নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর সমর্থক হিসেবে কাজ করেছেন। নির্বাচনে টুলুর কাছে ৬ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন মমতাজ বেগম। 

এ দিকে গত ১ জানুয়ারি নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে দেওয়া লিখিত জবাবে ফরিদ মোল্লা ও রিফাত চৌধুরী বলেছেন, প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। তাঁদের নির্বাচনী প্রচারণা থেকে বিরত রাখার জন্য বাদী এ অভিযোগ করেছেন। তাঁরা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ৭৭ অনুচ্ছেদের বিধি লঙ্ঘন করেননি।

আড়াই কোটির টার্মিনাল চালু হয়নি ৫ বছরেও

তিতুমীর শিক্ষার্থীরা আবার রাস্তায়, যানজটে ভোগান্তি

রাতে আধা ঘণ্টা বিঘ্নিত হতে পারে জরুরি সেবা ৯৯৯

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদের জেরে শিক্ষার্থী খুন: ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

বাণিজ্য মেলায় ব্লেজার-ক্রোকারিজ ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ

ইজতেমা ময়দানে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে ফায়ার সার্ভিসের ড্রোন ইউনিট

দুই উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন: আমরা এখনো ভাবি নাই, বললেন নাহিদ

নারী সহকর্মীর সঙ্গে রাতযাপন: হাইটেক পার্কের ডিডি আতিক বরখাস্ত

আম বয়ানে শুরু বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা

এস আলম ও তাঁর পরিবারের আরও ৩৬৮ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ

সেকশন