গাজীপুরের শ্রীপুরে অটোরিকশাচালক হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। সড়ক অবরোধের চার ঘণ্টা পর অভিযুক্ত তাকওয়া মিনিবাসের চালককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বিক্ষোভ তুলে নেওয়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে শ্রীপুর থানায় নিহতের ছোট ভাই তৌহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত অটোরিকশাচালক মো. লিটন মিয়া (৩৫) পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাদখলা গ্রামের মো. দুলাল মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তার তাকওয়া মিনিবাসের চালক মো. জনি মিয়া (২০) গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম ছাপরহাটি গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি তাকওয়া পরিবহনের চালক। অপর অভিযুক্তরা হলেন লোকমান হোসেন (৩০) ও রুমেল (২২)। তাঁরা দুজন তাকওয়া মিনিবাসের চালকের সহকারী।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, অটোরিকশাচালককে তুলে নিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় প্রধান আসামি তাকওয়া মিনিবাসের চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। জব্দ করা হয়েছে বাসটি।
গাজীপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, একজন অটোরিকশাচালকের মৃত্যুর খবরে তাঁর স্বজন ও স্থানীয়রা সকাল পৌনে ৮টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যে মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় অবরোধের চার ঘণ্টা পর অবরোধকারীদের সড়ক থেকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার বিকেলে শ্রীপুর পৌরসভার গড়গড়িয়া মাস্টার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ সকাল থেকে নিহতের স্বজন, অটোরিকশাচালকেরা ও স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন।