গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যৌতুকের দাবিতে মারধর ও প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ের মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত মশিউর শিকদার (৫৫) ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী মাহমুদা বেগমকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল বুধবার রাত ২টার দিকে তাঁদের খুলনার খালিশপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একই মামলায় মশিউর শিকদারের চাচাতো ভাই সাখাত শিকদার (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী পারভিন বেগমকে (৪০) টুঙ্গিপাড়ার চর-গোপালপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত মশিউর শিকদার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার চর গোপালপুর গ্রামের মৃত মোকলেছ শিকদারের ছেলে ও সাখাত শিকদার একই গ্রামের মৃত সিদ্দিক শিকদারের ছেলে। মশিউর শিকদার পেশায় একজন ট্রাক চালক।
টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) তন্ময় মণ্ডল বাদীর বরাত দিয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে মশিউর শিকদার প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে খুলনার খালিশপুরে সংসারও শুরু করেন। এপ্রিল মাসে বিষয়টি জানাজানি হলে প্রথম স্ত্রী মাহফুজা বেগম মামলা করতে চায়। এ সময় স্বামী মশিউর ও তাঁর পরিবারের লোকজন তাঁকে মামলা না করার জন্য হুমকি দেন ও যৌতুকের দাবিতে মারধর করেন। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ১২ মে আদালতে মামলা দায়ের করেন মাহফুজা।
ওসি আরও বলেন, গতকাল ওই মামলার ওয়ারেন্ট থানায় আসলে রাতেই খুলনার খালিশপুর ও টুঙ্গিপাড়ার গোপালপুর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।