বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর ধানমন্ডিতে শামীম নামে এক শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গোপালগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানসহ চারজনকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিন রেজা এই নির্দেশ দেন।
অন্য দুজন হলেন—ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ও ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক।
চারজনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদেরকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। প্রথমে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি হয়। এ সময় আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য পুলিশের করা আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট বিকেল ৫টায় রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন শিক্ষার্থী শামীম (১৩)। মিছিলটি কলাবাগান এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অতর্কিত আক্রমণে আহত হন শামীম। এরপর তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর পরের দিন ৬ আগস্ট চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় গত ৩ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২৮ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের মা জাহানারা বেগম।