কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক ও ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা প্রায় ৩০০ দোকান উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন। গত ৮ জানুয়ারি থেকে আজ সোমবার পর্যন্ত জেলা পুলিশের উদ্যোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পৌরবাসী বলছেন, হকারদের উচ্ছেদ করায় শহরে যানজট কম আসবে। তবে হকার ও নিম্ন আয়ের মানুষদের কথা বিবেচনা করে হলিডে মার্কেটের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
জেলা শহরের বাসিন্দা শায়ের বলেন, শহরে যানজটের কারণে ব্যাপক ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। যানজটের অন্যতম কারণ হলো সড়ক ও ফুটপাত দখল করে হকারদের ব্যবসা। দিনের বেলায় যানজট পেরিয়ে গাইটাল এলাকা থেকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম হাসপাতালে যেতে সময় লাগে দেড় ঘন্টা। অথচ যানজট না থাকলে ওই পথে যেতে সময় লাগে ২০ মিনিট। এসব দোকানপাট উচ্ছেদের কারণে যদি এখন একটু স্বস্তি পাওয়া যায়।
শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষেরা এবং হকারেরা যেন উপকৃত হয় সেজন্য একটা হলিডে মার্কেট প্রয়োজন পৌর শহরে। এটা আমাদের দাবি। এতে করে উচ্ছেদকৃত হকারদেরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।’
স্থানীয় সূত্র জানায়, শহরের একটি প্রভাবশালী চক্র গৌরাঙ্গ বাজার, একরামপুর ব্রিজ, তেরি পট্টি, পুরানথানা-বড়বাজার সংযোগ ব্রিজের সড়ক ও ফুটপাত দখল করে প্রত্যেক হকারের কাছ থেকে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত জামানত নিয়ে দোকান ভাড়া দিত। ভাড়া বাবদ প্রতিদিন হকারদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নিত ওই চক্রটি।
সমন্বয় সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি এ এম ওবায়েদ বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য প্রশাসনের সবাইকে সাধুবাদ জানাই। পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ দোকান উচ্ছেদ অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করতে হবে। এছাড়া উচ্ছেদকৃত হকার ও নিম্ন এবং নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষেররা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য হলিডে মার্কেটের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. পারভেজ মিয়া বলেন, হলিডে মার্কেট করার পরিকল্পনা আছে। হলিডে মার্কেট হলে খুব কম টাকায় নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্তরা তাদের দৈনিক ব্যবহার্য জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে পারবেন।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, শহরকে যানজট মুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এতে করে শহরের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে। জেলা পুলিশ যানজট নিরসনে তার সার্মথ্যের সবটুকু দিবে।