Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > ঢাকা

এখনো বেতন ও উৎসব ভাতা পাননি বেশিরভাগ কারখানা শ্রমিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এখনো বেতন ও উৎসব ভাতা পাননি বেশিরভাগ কারখানা শ্রমিক

চলতি মাসের ২২ তারিখের মধ্যে এপ্রিল মাসের অর্ধেক বেতন এবং ঈদুল ফিতরের উৎসব ভাতা দেওয়ার কথা থাকলেও বেশিরভাগ কারখানা মালিক আজ সোমবার পর্যন্ত বেতন ও উৎসব ভাতা পরিশোধ করেননি। এর আগে সরকার এবং বেসরকারি শিল্পকারখানাগুলোর মালিক ও শ্রমিকদের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে চলতি মাসের ২২ তারিখের মধ্যে বেতন এবং ঈদুল ফিতরের উৎসব ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে গত ১১ এপ্রিল এ বৈঠক হয়। 

সোমবার সন্ধ্যায় শিল্প পুলিশ সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, বিজিএমইএভুক্ত ১ হাজার ৬১৫টি কারখানার মধ্যে ৮২৭টিতে উৎসব ভাতা এবং ১ হাজার ৫৮০টিতে এপ্রিল মাসের অর্ধেক বেতন দেওয়া হয়নি। বিকেএমইএভুক্ত ৬৮৫টি কারখানার মধ্যে ৪৯৮টিতে উৎসব ভাতা ও ৬৫৪টিতে বেতন দেওয়া হয়নি। বিটিএমএভুক্ত ৩৩৮টি কারখানার মধ্যে ২০৯টি কারখানার উৎসব ভাতা ও ৩২৯টিতে বেতন দেওয়া হয়নি। বেপজা তালিকাভুক্ত ৩৪৮টি কারখানার মধ্যে ১১৭টি কারখানায় উৎসব ভাতা এবং ৩৩৮টি কারখানা বেতন দেওয়া হয়নি। 

এ ছাড়া ৮৩টি পাটকলের মধ্যে ৬৪টি কারখানায় উৎসব ভাতা এবং ২৫টি বেতন দেওয়া হয়নি। অন্যান্য ৬ হাজার ১০৭টি বিভিন্ন ধরনের কারখানার মধ্যে ৫ হাজার ২৩৭টি বেতন এবং ৪ হাজার ৩১০টি কারখানায় উৎসব ভাতা দেওয়া হয়নি। 

বিকেএমই নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বোনাসের বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কারখানার মালিকদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এপ্রিলে অর্ধেক মাসের বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট তারিখ দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বলা হয়েছিল ঈদের আগে এই বেতন পরিশোধ করতে হবে। মালিকেরা সেভাবেই এগোচ্ছেন। 

তিনি বলেন, ‘অর্ধেক মাসের বেতন দেওয়া খুবই কঠিন হয়ে যাবে আমাদের বাস্তবতায়। ব্যাংকে ইনসেনটিভের টাকা আটকে থাকা এবং গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন বন্ধ থাকায় মালিকেরা খুবই বাজে অবস্থায় আছে।’ 

এমন অবস্থায় কোন শ্রমিক অসন্তোষের শঙ্কা আছে কী-না জানতে চাইলে শিল্প পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা দুই-একদিনের মধ্যে উৎসব ভাতা আর অর্ধেক মাসের বেতন দিয়ে দেবেন। সে ক্ষেত্রে অরাজকতা হবে না বলেই মনে হয়। 

বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার সলিডারিটির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক কল্পনা আখতার এ বিষয়ে বলেন, ‘শ্রমিকদের উৎসব ভাতা এবং অর্ধেক মাসের বেতন আটকে রাখার কোন মানেই হয় না। করোনার পরে দেশের সব পোশাক কারখানা ও অন্যান্য কলকারখানায় কাজ বেড়েছে। কোন কারখানাই বসে নেই, অর্ডারও কম নেই কারও। কোন মালিক যদি বেতন বোনাস না দেয় তবে এটা মালিকদের দুরভিসন্ধিমূলক আচরণ।’ 

আয়োজন বেশি, ক্রেতা কম

গুলশানের একটি বাড়িতে মব তৈরি করে লুটপাট

জ্বলে না চুলা, ইফতারি তৈরিতে হিমশিম রাঁধুনি

‘পর্দা’ না করায় ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তা করা কর্মচারী আটক

তরমুজ নিয়ে ব্যবসায়ী ও ছাত্রদল নেতার মারামারি

ইয়াবাসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা গ্রেপ্তার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাকে পিটিয়ে জখম

মা-বাবাসহ ৭ জনকে কোপালেন যুবক, একজনের মৃত্যু

স্বামীর বাইক কিনে দেওয়ার চাপে স্ত্রীর ‘আত্মহত্যা’

গুলশানে বাসা ভাঙচুর: ৩ আসামির রিমান্ড-জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে