কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিদ্যুতের মূল্য কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সেখানে হাজির হলে পুলিশ দুই পক্ষকেই ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা করেন বলে অভিযোগ করা হয়। তাতে দলটির চার নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহ রিয়াজুল হান্নানের নেতৃত্বে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
বিএনপির দলীয় সূত্র জানিয়েছে, সকালে দলের অস্থায়ী কার্যালয় উপজেলার সাফাইশ্রীতে জড়ো হন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপজেলা শহরের দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল নিয়ে সাফাইশ্রী মোড়ে আসে। এ সময় দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হান্নান পুলিশের সহায়তায় ঢাকার উদ্দেশে অস্থায়ী কার্যালয় ত্যাগ করেন। অভিযোগ রয়েছে, দলীয় কার্যালয় ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় উপজেলা পরিষদের সামনে গেলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালান। তাতে অন্তত চারজন আহত হয়।
আহত নেতা-কর্মীরা হলেন উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাসুদ হোসেন, সনমানিয়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মঞ্জুরুল ইসলাম, মো. ফারুক ও মো. হারুন।
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহ রিয়াজুল হান্নান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে কাপাসিয়া উপজেলা সদরের সাফাইশ্রীর দলীয় কার্যালয় কর্মসূচি পালন করা হচ্ছিল। এ সময় পুলিশি বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়। পরে দলের নেতা-কর্মীরা সভাস্থল চলে যাওয়ার পথে সরকারের লাঠিয়াল বাহিনীর হাতে আমাদের চার নেতা-কর্মী আহত হয়।’
তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাজহারুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিএনপির কোনো নেতা-কর্মীর দেখা হয়নি। হামলার ঘটনা ঘটে থাকলে তা তাদের দলীয় কোন্দলে ঘটেছে।’
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, ‘বিক্ষোভ মিছিল করতে চাইলে পুলিশ দেখে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। কোনো হামলা বা মারামারির ঘটনা ঘটেনি। এ ধরনের কোনো অভিযোগও থানায় কেউ করেনি।’