হোম > সারা দেশ > ঢাকা

আগের জিনিসই ‘আলিয়া কাটে’, জমেনি এখনো বেচাকেনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘আলিয়া কাট আছে নাকি?’ গাউছিয়া মার্কেটের দোতলায় নিউ নীল আঁচল বুটিকস শোরুমে ঢুকে জিজ্ঞেস করছিলেন শফিকুল ইসলাম। স্কুলপড়ুয়া মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে গতকাল সোমবার ঈদের কেনাকাটা করতে বেরিয়েছিলেন তিনি। 

আলিয়া কাটে আগ্রহ কেন জানতে চাইলে শফিকুল বলেন, ‘মেয়ের আবদার আলিয়া কাট। এবার নাকি সবাই কিনছে। জামাকাপড় খুব বেশি তো কেনা হয় না। ঈদে একটা চাইল। সামর্থ্যে কুলালে কিনব।’ 

শফিকুল ইসলামের মেয়ের মতোই এবার ঈদের বাজারে অনেকের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে আলিয়া কাট ড্রেস। রাজধানীর মৌচাক, গাউছিয়া, চাঁদনী চক ও নিউমার্কেটের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, বিক্রেতারা আলিয়া কাট ড্রেসের নাম ধরে ডেকে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। ক্রেতাদের কেউ কেউ সেই ডাকে সাড়া দিয়ে দোকানে ঢুকে আলিয়া কাট কিনছেন, কেউ আবার নেড়েচেড়ে দেখে সামনের দোকানে পা বাড়াচ্ছেন। 

গাউছিয়া মার্কেটের দিল্লি কালেকশন নামের একটি দোকানের মালিক ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কেনাকাটা জমেনি। তবে ক্রেতা যাঁরা আসছেন, তাঁদের মধ্যে আলিয়া কাট গাউন, আলিয়া কাট ঘারারা নিয়ে আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি।’ 

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আলিয়া কাট নাম দিয়ে বিক্রি হলেও এই পোশাকটা মূলত প্রচলিত নকশার ঘারারা ও গাউন। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতেই মূলত বাহারি নাম দেওয়া হচ্ছে। গাউছিয়ার নিউ নীল আঁচল বুটিকসের মালিক ইসহাক খান বলেন, ‘১৬ বছর ধরে দেখতেছি। আগেও গাউন চলত, এবারও সেটাই চলতেছে। নামটা শুধু নতুন।’ 

ব্যবসায়ীরা জানান, মূলত ভারতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে যে পোশাকগুলো বাজারে আসে, বাংলাদেশে ঈদের বাজারে সেগুলোই তোলা হয়। গত পূজায় ভারতে আলিয়া কাট ড্রেসের চল ছিল। তাই এবার ঈদের বাজারে ব্যবসায়ীরা এই পোশাকগুলোই এনেছেন।

বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, আলিয়া কাট গাউন ও আলিয়া কাট ঘারারা ৩ হাজার থেকে শুরু করে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হচ্ছে। আলিয়া কাট ছাড়াও এবার ঈদ উপলক্ষে মাল্টি কালারের ঘারারা ও গাউন এসেছে বাজারে। এগুলোও ৩ হাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে পাওয়া যাচ্ছে। 

রমজানের প্রায় এক সপ্তাহ পার হতে চললেও এখনো ঈদের কেনাকাটা জমেনি বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। গাউছিয়া মার্কেটের নুসরাত ফ্যাশনের বিক্রেতা বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘এবার বেচাকেনা কম।

গাউছিয়া মার্কেটে রমজানের এই সময়ে ভিড়ে পা ফেলার জায়গা থাকে না। আর এখন আমরা কাস্টমার পাচ্ছি না।’ একই রকম কথা বলেন দিল্লি কালেকশনের ফরিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মানুষ খাবে, না জামা কিনবে? আগে মানুষ ২০ হাজার টাকায় সংসার চালাতে পারত, এখন ৪০ হাজারেও পারে না। জামা কিনবে কীভাবে?’ 

অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, এবার পোশাকের দাম বেশি। চাঁদনী চকে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা সাদিয়া আফরিন বলেন, ‘৩-৪ হাজার টাকার নিচে পছন্দসই কোনো ড্রেস পাচ্ছি না। দামটা এবার অনেক বেশি।’

জাবির মেয়েদের হল থেকে বহিরাগত যুবক আটক

অপ্রশস্ত সেতুতে ভোগান্তি

ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসুর বিরুদ্ধে থানায় জিডি

সিটি গ্রুপের ভোজ্যতেলের কারখানা পরিদর্শনে ভোক্তা-অধিকারের কর্মকর্তারা

আন্তকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মাইলস্টোন কলেজের সাফল্য

পদ্মা নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

ব্রির ছয় দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা শুরু

সিরাজদিখানে কুকুরের কামড়ে ৫ শিশুসহ আহত ১৫

সাবেক এমপির নামফলক ভেঙে গণপিটুনি খেলেন শ্রমিক দল নেতা

নাগরপুরে আ.লীগ নেতা কুদরত আলী গ্রেপ্তার

সেকশন