নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা হয়ে যাওয়া রাজধানী শহর ঢাকায় বেড়েছে চুরির শঙ্কা। চুরি ঠেকাতে ফাঁকা হওয়া বাসাবাড়ি, শপিং মল আর দোকানপাটে নজরদারি বাড়িয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এবং সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান র্যাবের মহাপরিচালক ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ।
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ঈদের ছুটিতে যাওয়া মানুষের বাসস্থান, কর্মস্থল, শপিং মলসহ অন্যান্য স্থানে চুরি ও ডাকাতি প্রতিরোধে র্যাবের নজরদারি ও টহল বাড়ানো হয়েছে।’
এ ছাড়া, সারা দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাবের কন্ট্রোল রুম, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ, ফুট ও মোবাইল পেট্রোল, ভেহিক্যাল স্ক্যানার, অবজারভেশন পোস্ট, চেক পোস্ট এবং সিসিটিভি মনিটরিং করা হচ্ছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড ও র্যাব এয়ার উইং হেলিকপ্টার সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও সাংবাদিকদের জানান হারুন অর রশীদ।
র্যাবের মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভ্রমণে যাওয়া নারীদের উত্ত্যক্ত/ইভটিজিং/যৌন হয়রানি রোধে মোবাইল কোর্টসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ কোনো ধরনের হেনস্তার শিকার হলে অবশ্যই র্যাবকে জানাবেন। আমরা কঠোর হস্তে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
হারুন অর রশীদ আরও জানান, কোনো নাশকতা/হামলা মোকাবিলায় র্যাব স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডো টিমকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া পর্যাপ্তসংখ্যক টহল মোতায়েন ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর মাধ্যমে নাশকতাসহ যেকোনো ধরনের উদ্ভূত পরিস্থিতি কঠোরভাবে প্রতিহতের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে র্যাবের পক্ষ থেকে।
সড়কে বাড়তি ভাড়া ও চাঁদাবাজির বিষয়ে হারুন অর রশিদ বলেন, সড়ক, রেল ও নৌপথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও হয়রানি, অজ্ঞান/মলম পার্টি, চাঁদাবাজি এবং ছিনতাই রোধকল্পে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নজরদারি ও টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।