মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে জেলা বিএনপি সভাপতির বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় গ্রেপ্তার নিত্য সরকার নামের এক ব্যক্তি (৪৩) মারা গেছেন। তিন দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে গতকাল শুক্রবার তাঁর মৃত্যু হয়। আজ শনিবার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর খান।
জেল সুপার বলেন, ‘গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে অসুস্থ নিত্য সরকারকে জেলা কারাগার থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। গতকাল শুক্রবার রাতে হাসপাতালে মারা গেছেন। তিনি অ্যাপলাস্টিক অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতাজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন।’
তিনি উপজেলার গালা ইউনিয়নের কালোই গ্রামের জগদীশ সরকারের ছেলে। তিনি গালা ইউনিয়নের কালই দুর্গা ও কালীমন্দিরের সভাপতি এবং ইউনিয়ন পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতিও ছিলেন।
গালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক শফিক বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কালোই গ্রামের নিত্য গত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। সে খুবই নিরীহ প্রকৃতির লোক। আমার জানামতে, কোনো দলীয় প্রোগ্রাম করত না। কোনো নেতাও ছিল না। রাজনৈতিক না, ব্যক্তিগত কারণে তাঁকে ভাঙচুর মামলায় আসামি করা হয়েছিল বলে আমার মনে হয়।’
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২২ সালে জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার বাসভবনে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী অনুষ্ঠান হচ্ছিল। সেখানে হামলা, ভাঙচুর ও দলীয় নেতা-কর্মীদের মারধরের ঘটনায় হরিরামপুর থানায় ৮৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে গত ৩১ অক্টোবর মামলা করেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ওরফে ভিপি দুলাল। সে মামলায় নিত্য ৩৯ নম্বর আসামি ছিলেন। ওই দিন রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।