হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে পাল্টে গেছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ঘাটের চিত্র। এক সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা থাকতে হয়েছে। সারি সারি যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় থেকেছে। ঈদের বাকি ৩ দিন অথচ যাত্রীর চাপ নেই। যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করচে ফেরি।
সরেজমিনে পাটুরিয়া ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, ৪ নম্বর ফেরি ঘাটে দীর্ঘ সময় যানবাহনের অপেক্ষায় বসে থেকে ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাট ছাড়ে। এরপরেই যানবাহনের জন্য অপেক্ষায় ফেরি শাহ আলী।
এর আগে ৩ নম্বর ফেরিঘাটে হাসনা হেনা নামে ফেরি দীর্ঘ সময় যানবাহনের অপেক্ষায় থেকে ফেরি পূর্ণ করে।
জানা গেছে, যাত্রী পরিবহনের জন্য পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া ৩০টি লঞ্চ, আরিচা থেকে কাজীরহাট নৌপথে ১৩টি লঞ্চ এবং আরিচা থেকে কাজীরহাট নৌপথে ৪১টি স্পিডবোট চলাচল করছে।
যাত্রী কম লঞ্চে:
এদিকে একসময় ঘাটে কোনো লঞ্চ থাকত না। অথচ ১০-১২টা লঞ্চ ঘাটে নোঙর করা হয়েছে। যাত্রী নেই বললেই চলে।
ঘাট সুপার ভাইজার পান্না লাল নন্দী বলেন, ‘লঞ্চে যাত্রী নেই বললেই চলে। ঈদ ঈদ মনে হয় না।’
বিআইডব্লিউটিসি পাটুরিয়া এর এজিএম আব্দুস সালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোববার ১৩টি ফেরি প্রস্তুত রয়েছে। তবে ফেরি অনেক সময় যানবাহনের জন্য বসে থাকে। ঈদের সময় অথচ যানবাহন কনেক কম। কোনো ভোগান্তি নেই।’
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, ‘ঈদে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া এবং আরিচা নৌপথ দিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার লাখ লাখ মানুষ নদী পার হয়ে বাড়ি ফেরে। ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় চারটি ঘাট এবং আরিচা কাজীরহাট নৌপথে দুটি ঘাট প্রস্তুত রয়েছে।’