নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে তেলের জাহাজের ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণে আটজন দগ্ধের ঘটনায় সোহেল (৩৮) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এই ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হলো। আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সোহেল।
সোহেলের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার মিরপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম তাইজুল ইসলাম।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, সোহেলের শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। গত মঙ্গলবার দুপুরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন মারা যান তাজুল ইসলাম লিমন (২০)। আর শনিবার দিবাগত রাতে মারা যান হুমায়ুন কবির (৫৪) ও রুবেল (৫৪)।
রুবেলের বাড়ি ভোলার জেলার লালমোহন উপজেলার ফুলবাগিচা গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আব্দুর রহমান।
এর আগে ৩ জুন দিবাগত রাত ১টার দিকে রূপগঞ্জে গাজী ব্রিজসংলগ্ন দড়িকান্দি ডকইয়ার্ডে ‘ওটি সাংহাই-এইট’ নামে জাহাজে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এতে দগ্ধ হন জাহাজটির স্টাফ তাজুল ইসলাম লিমন, আ. মান্নান রাহাদ, হুমায়ুন কবির, ইমতিয়াজ আহমেদ, রুবেল, সোহেল, নাজমুল ও রাকিব।
জাহাজটির স্টাফ আব্দুল মান্নান রাহাদ জানান, তাঁরা জাহাজটিতে করে চট্টগ্রাম থেকে নরসিংদীতে তেল নিয়ে যান। সেখানে তেল আনলোড করে তাঁরা জাহাজটি নিয়ে রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে তাঁদের ডকইয়ার্ডে গিয়ে ভেড়ান। গতকাল দিবাগত রাত ১টার দিকে তাঁরা যখন জাহাজটির ডেকের ওপরে ছিলেন তখন ইঞ্জিন রুমে হঠাৎ বিকট বিস্ফোরণ হয়। তাঁদের শরীরে মুহূর্তে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা নদীতে লাফিয়ে পড়েন। এরপর সাঁতরে পারে উঠেন। তখন সহকর্মীরা তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম ঘটনার দিন জানান, জাহাজের আগুনের ঘটনায় মোট আটজন রোগীকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছিল। এঁদের মধ্যে তিনজনকে ওই দিনই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ইমতিয়াজ ৩০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছেন।