ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় মধ্যরাতের পর যানজট কমে গেলেও সকাল থেকে আবারও বাড়ছে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ। এ কারণে গাজীপুর থেকে চন্দ্রা ও আশুলিয়া থেকে চন্দ্রামুখী সড়কে থেমে থেমে চলছে গাড়ি।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, গতকাল সোমবার গাজীপুরের এবং সাভার এলাকার বিভিন্ন শিল্প কারখানা ছুটি হওয়ার কারণে বিকেলের পর থেকে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। মধ্যরাত পর্যন্ত এই যানজট ছিল। পুলিশি তৎপরতায় রাতে যানজট কমে গিয়ে সকালে চন্দ্রা এলাকার পরিস্থিতি অনেক স্বাভাবিক হয়ে যায়।
তাঁরা আরও বলেন, গতকাল সোমবার বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়ে ব্যর্থ হয়ে যাঁরা বাসায় ফিরে গিয়েছিলেন, আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁরা পুনরায় সড়কে নেমে এসেছেন। এ ছাড়া অবশিষ্ট বিভিন্ন শিল্পকারখানায় আজকে ছুটি দেওয়ায় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। এ কারণে চন্দ্রা ও আশপাশের প্রায় দুই কিলোমিটারের মতো এলাকায় থেমে থেমে চলছে গাড়ি।
সরেজমিনে দেখা যায়, গাজীপুর-টাঙ্গাইল সড়কে চন্দ্রার পূর্বে দুই কিলোমিটারের মতো এলাকায় যানবাহন ধীরগতিতে চলছে। চন্দ্রা এলাকায় মহাসড়কের পাশে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য যানবাহনের আশায় পোশাকশ্রমিকেরা অপেক্ষা করছেন। কোনো গাড়ি এলেই দৌড়ে সেটাতে ওঠার চেষ্টা করছেন। এতে গাড়ির গতি কমে আসে এবং পেছনে যানবাহনের সারি বাড়তে থাকে।
গাইবান্ধায় যাওয়ার জন্য গতকাল স্ত্রীসহ এসেছিলেন হানিফ মিয়া। তিনি বলেন, ‘অনেক রাত পর্যন্ত পরিবার নিয়ে অপেক্ষা করেও গাড়িতে উঠতে না পেরে রাতে বাসায় ফিরে গিয়েছিলাম। এখন আবার এসেছি। তিনি আশা করছেন, খুব তাড়াতাড়ি কাঙ্ক্ষিত যানবাহনে উঠতে পারবেন। তাঁর মতে, গতকালের তুলনায় আজকে সড়কের অবস্থা অনেকটাই স্বাভাবিক।
এসব বিষয় গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) নাজমুস সাকিব খান বলেন, সোমবার বিকেলের পর থেকে সড়কের পরিস্থিতি কিছুটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আমরা রাতে সেগুলো পরিষ্কার করেছি। আজ মঙ্গলবার সকালে মহাসড়কের অবস্থা অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘরমুখী মানুষের চাপ বাড়লেও সড়কের অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি বলেন, চন্দ্রার বিভিন্ন দিকে কয়েক কিলোমিটারব্যাপী যানবাহনের গতি কম থাকলেও ঈদ যাত্রা আজকে সহনীয় আছে।