কৌশলে কাউকে বাসায় ডেকে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও মারধর করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে আশুলিয়া থানার পুলিশ। এর আগে ১৪ জুন আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় এক ব্যাংক কর্মচারীকে জিম্মি করে প্রায় ৩ লাখ টাকা লুটে নিয়েছিল একটি চক্র। সেই ঘটনার পরদিন একজন গ্রেপ্তার হলেও এই দুজন পলাতক ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে বুধবার রাতে ঢাকার ধামরাই থানা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—ঢাকার ধামরাই থানার বাটুলিয়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে শাহিন (৩৫) ও বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানার এশারত আলীর ছেলে আতা (২৬)। তাঁদের নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। এ ছাড়া তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধেই এর আগের প্রতারণার মামলা রয়েছে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তি মশিউর রহমান (৩৭) ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের মতিঝিল শাখায় অফিস সহায়ক হিসেবে কাজ করেন। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ থানায়। তিনি ঢাকার কদমতলী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
ভুক্তভোগী মশিউর রহমান ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মশিউর রহমান ঢাকা থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছোট ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য সাভারে আসছিলেন। একপর্যায়ে বাসেই ঘুমিয়ে পড়েন। পরে সজাগ হলে দেখতে পান তিনি আশুলিয়ার পলাশবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে। কয়েকজন তাঁকে একটি বাসায় নিয়ে যায়। এ সময় সেখানে চার-পাঁচ জন উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তাঁকে মারধর করে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন তাঁরা। পরে মোবাইল ব্যাংকিংসহ বিভিন্নভাবে ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা এনে দিলে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী মশিউর রহমান বলেন, ‘বাসে ওঠার পরই তাদের মধ্যে কেউ আমাকে টার্গেট করে কিছু একটা করেছে। ফলে আমি অনেকটা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছিলাম।’
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। মূলত তাঁরা মানুষকে কৌশলে ফাঁদে ফেলে টাকা লুটে নেয়। মামলায় আরও কয়েকজনের নাম আছে। তাঁদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।’