ঢাকার আশুলিয়ার ব্যবসায়ী ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঠিকাদার কাজিম উদ্দিনকে হত্যার মামলায় প্রধান আসামি ভাতিজা আব্দুল লতিফকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এর সঙ্গে নির্বাচনী সহিংসতার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছে র্যাব।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান। এর আগে আশুলিয়া থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার আব্দুল লতিফকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার লতিফ নিহত কাজিম উদ্দিনের বড় ভাই মৃত আলী মোহাম্মদ খানের ছেলে। লতিফের বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই অনেক দিন ধরে চাচাদের সঙ্গে পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে তাঁর বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা লেগেই থাকত।
আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি কাজিম উদ্দিন বাড়ির পাশে নিজের ডেইরি ফার্মে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। সেদিন রাতে লতিফ ও তাঁর মধ্যে সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে লতিফ উত্তেজিত হয়ে রুমে থাকা বটি দা দিয়ে কাজিম উদ্দিনের গলায় কোপ দিয়ে হত্যা করেন।
এদিকে কাজিম উদ্দিনের হত্যার ঘটনাকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা আখ্যা দিয়েছিল পরিবার। এমনকি বেশ কিছু মিডিয়া পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি সেভাবেই উপস্থাপন করে। কেন এমন অভিযোগ তোলা হয়েছিল সংবাদকর্মীদের এই প্রশ্নে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘গত নির্বাচনে অন্য প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে তাঁর বাগ্বিতণ্ডা হয়েছিল। এমনকি নির্বাচনে কাজিম উদ্দিনের সমর্থিত প্রার্থী হারার পরে তাঁকে এ নিয়ে লজ্জা দেওয়া হয়েছিল। তাঁর পরিবারের লোকজনও বিষয়টি জানতেন। এ ছাড়া তাঁর আপন ভাতিজা এমন হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে এমন কোনো ধারণা তাঁদের ছিল না। তাই প্রাথমিকভাবে এই হত্যাকাণ্ডকে নির্বাচনী সহিংসতা মনে করেছিল নিহতের পরিবার।’