হোম > সারা দেশ > ঢাকা

তথ্য কমিশন আমলাতন্ত্রের হাতে জিম্মি: ইফতেখারুজ্জামান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তথ্য কমিশন আমলাতন্ত্রের হাতে জিম্মি বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠান একধরনের পুনর্বাসন সেন্টার হয়ে গেছে, যেখানে দলীয় প্রভাবে প্রভাবান্বিত ব্যক্তিদের অবসরের পর পুনর্বাসন করা হয়।

আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনজিও-বিষয়ক ব্যুরোর কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন।

তথ্য অধিকার ফোরাম ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্য অধিকার: এনজিওদের সহায়ক ভূমিকা’ শীর্ষক ওই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যাঁদের সারা জীবনের পেশাগত দায়িত্বের মধ্যেই ছিল তথ্য ধরে রাখা বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য গোপন রাখা, তাঁদেরই মানবাধিকার কমিশন বা তথ্য কমিশনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এই অবস্থা একটা দেশে চলতে পারে না। তথ্য কমিশন সংস্কার করতে হবে। এ জন্য সরকার কর্তৃক এককভাবে যেন তথ্য কমিশনে নিয়োগ না দেওয়া হয়। অংশীজনদের মতামত নিয়ে তথ্য কমিশন গঠন করতে হবে।

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘তথ্য অধিকার আইনটি দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে প্রণয়ন করা হয়েছিল। কিন্তু এটাকে সেভাবে গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। তথ্য চেয়ে খুবই সাধারণ বিষয়ে আবেদন করা হয়। বড় বড় দুর্নীতির বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য চেয়ে আবেদন করতে হবে। আমি নিজে বড় বড় কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য চেয়ে আবেদন করে ব্যর্থ হয়েছি।’

বদিউল আলম মজুমদার আরও বলেন, তথ্য অধিকার আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে নাগরিকদের ক্ষমতায়িত করা। নাগরিকদের তথ্য দিয়ে তাদের সক্রিয় করা। এই আইনকে কার্যকর করতে সরকারি দপ্তরগুলোকে বাধ্য করতে হবে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, রাষ্ট্রের আইন, বিচার ও শাসন বিভাগ যদি ঠিক না থাকে, তাহলে তথ্য কমিশন বা মানবাধিকার কমিশনের কিন্তু কোনো কার্যক্ষমতা থাকবে না। যাঁরা তথ্য অধিকারের কথা বলেন, তাঁদের সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলতে হবে, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধেও কথা বলতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা বলতে হবে। বিগত সরকার নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করে ফেলেছিল বিচার বিভাগকে।

আসিফ নজরুল বলেন, তথ্য অধিকার নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে। এই অধিকার কিন্তু অন্যান্য অধিকারের মতো নয়। তথ্য অধিকার ছাড়া সব অধিকার মূল্যহীন। প্রতিটি অধিকারের সঙ্গেই এই অধিকার সংযুক্ত। তাই তথ্য অধিকার নিয়ে একটি আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, বিগত সরকারের আমলে তথ্য অধিকার আইন হয়েছে এবং তথ্য অধিকার বিনাশ করারও আইন হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন পুরোপুরি বাতিল করা উচিত হবে না। কারণ, এটি মূলত দুই ধরনের অপরাধ প্রতিরোধের জন্য তৈরি করা হয়েছে। একটি হচ্ছে ‘কম্পিউটার ওফেন্স’ (কম্পিউটার ব্যবহার করে অপরাধ সংঘটন) এবং অন্যটি ‘স্পিচ ওফেন্স’। স্পিচ ওফেন্স বাতিল করা সম্ভব হলেও কম্পিউটার ওফেন্স বাতিল করা সঠিক হবে না।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্য অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক শাহীন আনাম। সভায় সঞ্চালনা করেন আইসোশ্যালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অনন্য রায়হান। অন্যদের মধ্যে এনজিও ব্যুরোর পরিচালক আনোয়ার হোসেন, মিডিয়া রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভের (এমআরডিআই) নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান সভায় বক্তব্য দেন।

বকেয়া বেতন ও চাকরি স্থায়ীর দাবিতে মন্ত্রণালয়ের সামনের রেলওয়ে গেটকিপারদের অবস্থান

প্রধান উপদেষ্টার সাবেক সহকর্মী পরিচয়ে পুলিশের কাছে চাঁদা দাবি, গ্রেপ্তার ১

সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ইউপিতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ভাঙচুর

পোলো বাওয়া উৎসবে মাতলেন শত শিকারি

‘হাইব্রিড’ বলায় সংঘর্ষ দোকান-বাড়ি ভাঙচুর

পলাতক আসামি অনুষ্ঠানের অতিথি, খুঁজে পায়নি পুলিশ

‘দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না দেওয়ায় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা’

কবি নজরুলের নাতি বাবুল কাজী ‘লাইফ সাপোর্টে’

মানিকগঞ্জে নদীর তীরে পার্বণ নবান্ন উৎসব

সেকশন