মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাগলের ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে অন্তঃসত্ত্বা এক নারী ও তাঁর মাকে বেধড়ক পিটিয়েছেন এক ব্যবসায়ী। এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় তৈরি হয় চাঞ্চল্য। থানায় মামলা হলে পুলিশ অভিযুক্তের স্ত্রী শাহানা আক্তারকে আটক করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের নতুন বালুচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার সকালে এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে ঘিওর থানায় মামলা করা হয়েছে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অনামিকা (১৯) ও তাঁর মা কবিতা দাশ। অনামিকা গতকাল রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে গেছেন। তাঁর মা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
ভাইরাল হওয়া ৫০ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা গেছে, উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের আলু ব্যবসায়ী আ. রাজ্জাক ওই নারীকে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছেন। স্থানীয় কয়েকজন তাঁকে ফেরানোর চেষ্টা করছেন। ওই নারী বাঁচার জন্য চিৎকার করে কান্না করছেন।
ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী রুপ কুমার দাশ চারজনকে আসামি করে ঘিওর থানায় মামলা করেন। মামলার আসামি আ. রাজ্জাক, তাঁর স্ত্রী শাহানা আক্তার, ছেলে রাজ ও প্রতিবেশী শেফালী দত্ত।
ঘিওর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম টুটুল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘উভয় পক্ষের মারামারি ঘটনায় জড়িত। সংশ্লিষ্ট এলাকার মেম্বারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। অমানবিক এ ঘটনার সঙ্গে যে-ই জড়িত থাকুন, তাঁদের শাস্তি চাই।’
এ বিষয়ে জানতে রাজ্জাকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি কল রিসিভ করেননি। গোলাপনগর তাঁর গ্রামের বাড়িতে এবং ঘিওর বাজারে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী জানান, ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় চারজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত শাহানা আক্তারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের তৎপরতা চালানো হচ্ছে।