নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মহির স্ত্রী নুরজাহান বেগমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নিষেধাজ্ঞা দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মীর আহমেদ আলী সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর আদালত মহিউদ্দিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম আসামি নুরজাহানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৫৬৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং অসৎ উপায়ে উপার্জিত ১ কোটি ১৯ লাখ ৬৪ হাজার ৮০২ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় মামলা হয়েছে। আসামি সপরিবার দেশত্যাগ করে অন্য দেশে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।
এর আগে গত ১৬ অক্টোবর মহিউদ্দিন আহমেদ মহি ও তাঁর স্ত্রী নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন। মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৭০ লাখ ৬৩ হাজার ৯৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে ও তাঁর স্ত্রী নুরজাহানের ১ কোটি ১৯ লাখ ৬৪ হাজার ৮০২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে বলে মামলা দুটিতে অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলায় আরও বলা হয়, মহিউদ্দিন যখন সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন সোনা জমা বা বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছিলেন সাধারণ গ্রাহকেরা। গ্রাহকদের সেই সম্পদ ভুয়া মালিক সাজিয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি।
নথিপত্র বলছে, ২০২০ সালে মহিউদ্দিন আহমেদ ৭ হাজার ৩৯৮ ভরি সোনা বিক্রি করে দেন, যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যাংকটির ২ হাজার ৩১৬ জন গ্রাহক। আত্মসাৎ করা এসব টাকা স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করেন মহিউদ্দিন।