মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে মোবাইল ফোনে শ্যালিকার আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাতে দৌলতপুর উপজেলার খলসী ইউনিয়নের কুমুরিয়া গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪ সিপিসি-৩-এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট আরিফ হোসেন।
গ্রেপ্তারকৃত যুবকের নাম পলাশ রংদার (৩০)। তিনি উপজেলার খলসী ইউনিয়নের বেলদহ গ্রামের উপেন রংদারের ছেলে।
র্যাব কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট আরিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আট বছর আগে ভুক্তভোগীর বড় বোনের সঙ্গে পলাশ রংদারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তিনি তাঁর শ্যালিকাকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। সেসব প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পলাশ তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত হন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ফেব্রুয়ারিতে পলাশ তাঁর মোবাইল ফোনে ভুক্তভোগীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে অ্যাপসের মাধ্যমে এডিট করেন। পরে ভুক্তভোগীর বাবাসহ অন্য আত্মীয়স্বজনের মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন।’
আরিফ হোসেন আরও বলেন, ‘গতকাল সকাল ১০টায় ভুক্তভোগীর বাবা অভিযোগ দিলে রাতে কুমুরিয়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও দুটি সিমকার্ড জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম মোল্যা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল রাতে র্যাব পলাশকে গ্রেপ্তার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে পলাশের নামে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আজ দুপুরে তাঁকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।’