নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রী পেয়েছেন যাবজ্জীবন এবং তাঁর প্রেমিককে দেওয়া হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। আজ রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মাসুদ করিম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- মোছা. সুলতানা আক্তার কেমিলি ও তাঁর প্রেমিক রবিউল করিম পিন্টু। পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন। এ জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। বাদীপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে মামলার আরেক আসামি রবিউল করিম পিন্টুর বন্ধু সাইফুল ইসলাম ওরফে ইউসুফের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে খালাস দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে হাজির ছিলেন।
আসামিরা গ্রেপ্তার বা আদালতে আত্মসমর্পণের পর এ সাজা কার্যকর হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে। তবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হাইকোর্টের অনুমোদন নিতে হবে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইলিম সরকারের স্ত্রী সুলতানা আক্তার রবিউল করিম পিন্টুর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। ইলিম সরকার তা জেনে ফেলেন। পরে সুলতানা আক্তারের পরিকল্পনায় ২০২১ সালের ২৮ মার্চ রাতে পিন্টু ও ইউসুফ আশুলিয়ার কাঠগড়ার সরকার বাড়িতে ইলিম সরকারকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় ওই দিনই ভিকটিমের বাবা হাজি ফজল হক সরকার আশুলিয়া থানায় মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে পিবিআই ২০২২ সালের ২৯ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। সুলতানা আক্তার ও পিন্টু দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
এরপর ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।