নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
অটোরিকশা স্ট্যান্ড সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত করার দাবিতে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা সদরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকেরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা সদরের ফটকে অর্ধশত চালক এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। পরে চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন তাঁরা।
মানববন্ধনে অটোরিকশাচালকেরা বলেন, ‘স্থানীয় কালা মামুনের নেতৃত্বে এলাকার অটোরিকশাপ্রতি ৫০ টাকা করে চাঁদা তোলা হয়। এর মধ্যে বহিরাগত কোনো অটোরিকশা এলে ১০০ টাকা নিয়ে আমাদের আগে সিরিয়াল দেওয়া হয়। প্রতিবাদ করলে মারধরসহ সিরিয়াল পিছিয়ে দেওয়ার শাস্তি দেওয়া হয়।’
এ সময় অটোরিকশাচালক মো. মিলন বলেন, ‘উপজেলার বান্দুরা সিএনজি স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। প্রতিবাদ করলেই মারধরের শিকার হতে হয়। সাজা হিসেবে সিরিয়াল পিছিয়ে দেওয়া হয়।’
অটোরিকশাচালক আলীম মিয়া বলেন, ‘কালা মামুনরা এলাকার বাইরের অন্তত ১০টি সিএনজিচালকের কাছ থেকে চার-পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে সিরিয়ালে ঢুকিয়েছে। বলতে গেলে সিএনজিচালকদের স্ট্যান্ড থেকে বের করে দেওয়াসহ মারধরের হুমকি দেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. মামুন ওরফে কালা মামুনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে আমার কোনো বিষয় না, সিএনজিচালকেরা বললেই তো হবে না। আমি হুমায়ুন চেয়ারম্যান ও মুক্তার মেম্বারের নির্দেশে একজন অটোচালককে এনে দিয়েছিলাম টাকা তোলার জন্য। আর কিছু জানি না।’
বান্দুরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মুক্তার ব্যাপারী বলেন, ‘কালা মামুনের তো এখানে কোনো বিষয় না, আমারে চেয়ারম্যান কইছে আমি অচিন্ত্য নামের একজনকে টাকা তোলার জন্য এনে দিয়েছি। এই টাকা তুলে চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেয়। এখানে আমার তো কিছু না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইজারার বাইরে কেউ টাকা তুলতে পারবে না। এর ব্যত্যয় হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।