বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
ঢাকার শাহবাগ থানা কিছুটা সরিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকাতেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। থানা সরিয়ে এর প্রবেশ মুখ উত্তর দিকে করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় শাহবাগ থানা নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভা গত ৩ জুন শাহবাগ থানাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা থেকে সরিয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পাশে সাকুরা রেস্তোরাঁর পেছনে স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, উত্তর দিকে মুখ করে যতটা কম জায়গা নিয়ে পারা যায় সুইটেবল জায়গায় শাহবাগ থানা তৈরি করা হবে। থানাটা একটুখানি রিলোকেট হবে, মোটামুটি কাছাকাছি জায়গায় থাকবে। বারডেম ও ঢাকা ক্লাবের কাছাকাছি একটা জায়গায় থানা নেওয়া হবে।
আব্দুর রশীদ বলেন, এখন যে জায়গাটি থানা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে সেটি অস্বাস্থ্যকর, সেখানে পুরোনো, বিকল ও জব্দ করা গাড়ি রাখা হয়। এটির নান্দনিক অবস্থা খুবই খারাপ। সৌন্দর্য রক্ষা হয় না। এগুলো সরিয়ে দেওয়া হবে। এই প্রকল্পের আওতায় ফুলের মার্কেটও পুনর্বিন্যাস করার চেষ্টা করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সাকুরা রেস্তোরাঁর পাশে শাহবাগ থানাকে সরানো খুব একটা উপযোগী জায়গা বলে মনে হয়নি। সেখানে আন্তর্জাতিক মানের বিখ্যাত হোটেলগুলোর একটি রয়েছে। যেখানে থানা স্থানান্তরের কথা ছিল ওই জায়গার মালিক জায়গা দিতে চাচ্ছেন না।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্প প্রায় শেষের দিকে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখানে কিছু কিছু কাজ বাকি থাকতে পারে। সেই কাজগুলো আরও কীভাবে সুন্দরভাবে সমাপ্ত করা যায়, সেটি হয়তো কয়েকজন উপদেষ্টা একসঙ্গে দেখবেন। এরপর পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
উপদেষ্টা উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র দেখানো হয়।