নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী মেরাজুল ইসলাম জয় (২৮) হত্যার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) কাউন্সিলর শাহিনসহ ২০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নিহত জয়ের মা নাসরিন বেগম বাদী হয়ে বন্দর থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ ও ৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এই ঘটনায় হুকুমের আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে নাসিকের ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিনের নাম। অন্য আসামিরা হলেন আকিব হাসান রাজু (৩৪), সৌরভ (২৮), সাখাওয়াত হোসেন পিংকি (৩৮), বাবু (৪৫), ফয়সাল ওরফে রবিন (৩০), কাজল প্রধান (৪৮), মাসুদ (৪৮), নাদিম (৩৭), মানিক (৩৫), আব্দুর রব (৫৫), স্বপন (৪৮), বিল্লাল হোসেন বিল্লু (৩৩) ও রানা (৩২)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইতিমধ্যে মামলার তালিকাভুক্ত দুই আসামি আব্দুর রব এবং স্বপনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই মামলায় আরও ৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। জড়িতদের ধরতে আমাদের অভিযান চলমান।
এর আগে, গত সোমবার সন্ধ্যায় বন্দরের রূপালী আবাসিক এলাকায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে কাউন্সিলর অনুসারীদের হামলায় নিহত হন জয় (২৮)। এ সময় ওয়ার্কশপে উপস্থিত থাকা জয়ের বন্ধু আল আমিন (২৭) গুরুতর আহত হন। নিহত মেরাজুল ইসলাম ছালেহনগর এলাকার আজহারুল ইসলামের ছেলে এবং আয়মান ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক। আহত আল আমিন রুপালি আবাসিক এলাকার জাভেদ মিয়ার ছেলে। হামলার পরপরেই উভয়কে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হলে মারা যান জয়। আহত আল আমিন এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত কাউন্সিলর শাহিন। তবে রাতে নিজ ফেইসবুকে এক ভিডিও বার্তায় ঘটনার সঙ্গে নিজের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন। ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘মেরাজ হত্যার ঘটনায় আমাকে জড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার যদি সম্পৃক্ততা থাকে যে শাস্তি দেওয়া হবে তা মাথা পেতে নেব। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি দাবি করছি। আমার আত্মীয়স্বজন এই ঘটনায় জড়িত থাকলে তাঁদের বিচার হোক। আমি প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করে দেওয়ার অনুরোধ করছি। একই সঙ্গে এমপি মহোদয়ের (সেলিম ওসমান) কাছে অনুরোধ করছি আল্লার ওয়াস্তে আমাকে এই মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচানোর ব্যবস্থা করুন। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।’