নরসিংদীর রায়পুরায় বৃদ্ধ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে আসামিপক্ষের লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। এ সুযোগে বাদীপক্ষের লোকজন আসামিপক্ষের অন্তত ১২টি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ রোববার বিকেলে সরেজমিন ওই এলাকায় গিয়ে বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের সত্যতা পাওয়া গেছে।
সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত হওয়ার পর এ ঘটনায় আজ রোববার বিকেলে নিহতের ছেলে বাদী হয়ে বেশ কয়েকজনকে আসামি করে রায়পুরা থানায় মামলা করেছেন।
ভুক্তভোগীরা জানায়, বৃদ্ধের মৃত্যুর পর থেকে গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। সবাই বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ সুযোগে প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁদের বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর লুটপাট চালাচ্ছে। ভুক্তভোগী লিয়াকত আলী ও তাঁর মেয়ে জুলেখা বলেন, ‘লিয়াকত আলী, আসাদ মিয়া, সোহেল মিয়া, মানিক মিয়া, বিল্লাল মিয়া, জামাল মিয়া, কামাল মিয়ার ১০-১২টি ঘরবাড়িসহ দুটি মুরগির ফার্মে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এ ঘটনার আমাদের ২০ লাখের বেশি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হালিম মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেহেতু তাদের একজন খুন হয়েছে, একটু ভাঙচুর হতে পারে। তবে আর যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য কাজ করছি। ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’