ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের সালথায় উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর মরদেহের পরিচয় মেলেনি এক সপ্তাহেও। এর মধ্যে লাশটি বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম। গত ১৮ ডিসেম্বর ভোরে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের কাউলীকান্দা কেষ্টখালী ব্রিজ এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
তবে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান জানিয়েছেন, পুলিশের একাধিক সংস্থা ওই তরুণীর লাশের পরিচয় নিশ্চিত হতে কাজ করছে। তিনি বলেন, লাশটি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত করে এক দিন মর্গে রাখা হয়। পরদিন বেওয়ারিশ হিসেবে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামকে হস্তান্তর করা হয় এবং তারা দাফন করে।
ফরিদপুরের সালথায় উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহের পরিচয় গত সপ্তাহেও পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। পরিচয় না পাওয়ায় এর মধ্যে লাশটি বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম। তবে পরিচয় নিশ্চিতে পুলিশের একাধিক সংস্থা কাজ করছেন বলে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
গত ১৮ ডিসেম্বর ভোরে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের কাউলীকান্দা কেষ্টখালী ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় খেতের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে খবর দেওয়া হলে দুপুরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধারের সময় লাশের গায়ে কালো রঙের বোরকা, লাল রঙের পায়জামা ও পেস্ট কালারের জামা পরা ছিল। এ ছাড়া তাঁর গলায় বিদ্যুতের তার দিয়ে প্যাঁচানো ছিল। পুলিশের ধারণা, শ্বাসরোধ করে অন্য কোথাও থেকে হত্যা করে লাশ এখানে ফেলে রেখেছে দুর্বৃত্তরা।