আর মাত্র ৮ দিন বাকি। এরই মধ্যে ডামুড্যা উপজেলার প্রাথমিক স্তরে ৭৭ শতাংশ নতুন বই পৌঁছেছে। আর মাধ্যমিকে পৌঁছেছে ৪০ শতাংশ। বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে এখন শেষ সময়ের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, সরকার ইংরেজি বছরের প্রথম দিনেই দেশের স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের প্রদানের জন্য এখন স্কুলে স্কুলে পৌঁছে যাচ্ছে নতুন বই। ডামুড্যার বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আজ মঙ্গলবার থেকে মাধ্যমিক স্তরের বই সরবরাহ শুরু হয়েছে।
শিক্ষকেরা বলেন, প্রথম দিনে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির বই বিদ্যালয়ে এসে পৌঁছেছে। এই বই পেয়ে আমরা যেমন খুশি হই তেমনি অভিভাবক-শিক্ষার্থীরাও আনন্দিত হয়। এসব নতুন বই পাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে আছে শিক্ষার্থীরা। বছরের শুরুতেই বই হাতে পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সহজ হয়।
ডামুড্যা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে কর্মরত মো. হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আজ সকাল ১১টা থেকে ডামুড্যা উপজেলার দূরবর্তী স্কুলগুলো থেকে আসা শিক্ষকদের মধ্যে বই বিতরণ শুরু করি। প্রথম দিনে ৭টি স্কুলের শিক্ষকদের কাছে বই হস্তান্তর করা হয়েছে।
ডামুড্যা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন বলেন, নতুন বছরে কোনো শিক্ষার্থী বই পাবে না এমন হবে না। প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষার্থীদের হাতেও বই পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উভয় স্তরেই বই বিতরণে প্রথমে নদীবেষ্টিত, চর ও দুর্গম এলাকাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।