বিএনপিসহ বিরোধীদের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। রয়েছে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ।
আজ মঙ্গলবার সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়, মৌচাক, সানারপাড়, সাইনবোর্ড এলাকায় যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে অন্য দিনের তুলনায় আজ যানবাহন ও যাত্রীর চাপ বেশিই লক্ষ করা গেছে।
এদিকে দিনের শুরুতে ভোরে সড়কে হরতাল সমর্থনকারীদের কিছুক্ষণ উপস্থিতি লক্ষ করা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের দেখা যায়নি। অন্যদিকে সকাল থেকে মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।
বাবু নামে এক যাত্রী বলেন, ‘বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ থাকায় তাদের গ্রামে দিয়ে আসতে যাচ্ছি। মনে করেছিলাম হরতালের দিন গাড়ি, যাত্রী কম থাকবে, একটু আরামে বাড়িতে যেতে পারব। কিন্তু এখন বাস কাউন্টারে এসে দেখি মানুষের ভিড়।’
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী লিনা বেগম। তিনি বলেন, ‘অফিসের ছুটি না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে যাই না। হরতাল-অবরোধের ভেতরে বের হতেও ভয় লাগে। আজকে সাহস করে বের হয়ে দেখি ছুটির দিনের মতো। গাড়ির জটলা, তারপর সামনে সিট পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছি, কিন্তু গাড়ি আসছে না।’
এক পরিবহনের চালক আবু মোতালেব বলেন, ‘সকাল ৯টায় গাড়ি বাহির কইরা এক ট্রিপ মাইরা আইছি। কোনো জাগায় কোনো ঝামেলা নাই। রাস্তায় যাত্রী আছে অনেক।’
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ক্যাম্পের টি আই এ কে এম শরফুদ্দিন বলেন, সকাল থেকে মহাসড়কে যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে। মূলত ডিসেম্বর মাসে স্কুলগুলো ছুটি থাকায় মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে বাড়ি যাচ্ছে। তাই সড়কে যাত্রী ও যানবাহন দুটোর চাপ একটু বেশি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সকাল থেকে মহাসড়কে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া আমাদের টহল টিম রয়েছে, তারা সব সময় সড়কে টহল দিয়ে বেড়াচ্ছে। যেকোনো নাশকতা এড়াতে আমরা সকাল থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।’