সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সামাজিক আন্দোলনের কথা বলেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।
২২ অক্টোবর নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বিআরটিএ ভবনে সংবাদ সম্মেলনে নুর মোহাম্মদ মজুমদার এমন মন্তব্য করেন।
নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, এবার সপ্তমবারের মতো জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদ্যাপন করা হবে। সামাজিক আন্দোলন ছাড়া পরিবর্তন হবে না। এ জন্য ব্যাপকভাবে মোবাইল কোর্টের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট বর্তমানে যথেষ্ট নয়। তাঁদের টার্গেট দেওয়া হয়েছে মামলার বিষয়ে। একই সঙ্গে ৬ বিভাগীয় শহরে ৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট যুক্ত হবেন। তবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ব্যবস্থারই নিরাপত্তার বড় সংকট মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি স্বীকার করে নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ‘বর্তমানে দেশে মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ির সংখ্যা ৫ লক্ষাধিক। যদিও এর মধ্যে ৩০ শতাংশ রাস্তায় চলে না। ফিটনেসবিহীন গাড়িও আছে।’
সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা এখন দুর্ঘটনার তথ্য নিজেরা ওয়েবসাইটে দিচ্ছি। বিভিন্ন সংগঠনের তথ্যে গড়-মিল পরিলক্ষিত হয়। এখন আমরা বছরখানেক ধরে প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করছি। এ জন্য প্রকৃত পরিসংখ্যানে সংখ্যা বাড়ছে।’
সড়ক নিরাপদ দিবস উপলক্ষে বিআরটিএর কর্মসূচি সম্পর্কে চেয়ারম্যান বলেন, জিরো পয়েন্ট থেকে শিক্ষা ভবন হয়ে হাইকোর্ট মোড় পর্যন্ত, মৎস্য ভবন মোড়, ফার্মগেট থেকে জাহাঙ্গীর গেট হয়ে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত, সার্ক ফোয়ারা, শেরাটন মোড়, বিজয় সরণি মোড় থেকে হেলিকপ্টার মোড়, তেজগাঁও ফ্লাইওভার থেকে সওজ ভবন পর্যন্ত সজ্জিতকরণ করা হবে। সাতরাস্তার মোড় থেকে মহাখালী বাস টার্মিনাল পর্যন্ত, হাইকোর্টের কদম ফোয়ারা, মতিঝিলের শাপলা ও বলাকা চত্বর, মেট্রো রেলের দিয়াবাড়ি থেকে সংসদ ভবন পর্যন্ত মূল রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ এন্ট্রেন্সসমূহ, ফুটওভার ব্রিজ, সব স্টেশন, ইন্টারসেকশন, গোলচত্বর ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার দিয়ে সজ্জিত করা হবে। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও বাস টার্মিনালে জনসচেতনতামূলক লিফলেট, স্টিকার বিতরণ ও ব্যানার প্রদর্শন করা হবে।