রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত উইমেন্স ওয়ার্ল্ড নামে একটি পারলারের গোপন কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা-পুলিশ। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানা-পুলিশ বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আজ বুধবার দুপুরে এই মামলা করা হয়।
মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী এক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের ধানমন্ডি শাখা থেকে আটটি সিসি ক্যামেরা ও ক্যামেরার ডিভিআর জব্দ করা হয়।
মামলার বিষয়ে ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, ‘রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের শাখায় ফেশিয়াল করতে যাওয়া এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বিভিন্ন কক্ষের আটটি সিসি ক্যামেরা ও ক্যামেরার ডিভিআর পাওয়া যায়। অভিযানে তিনজনকে আটক করা হয়।’
পরবর্তীকালে পুলিশ বাদী হয়ে উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের মালিকসহ পাঁচজনের নামে মামলা করে। মামলার আসামিরা হলেন— পারলারের মালিক তসলিমা চৌধুরী কণা আলম (৫৭) ও ফারনাস আলম (৩২)। অপর দুজন হলেন এমদাদুল হাসান (৫৩), তসলিম আরিফ ইলিয়াস (৫২) ও এইচ এম জুয়েল খন্দকার (৩৩)।
আটক তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে কণা আলম ও ফারনাস আলম নামে দুজন মালিক পলাতক রয়েছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
কার নির্দেশে স্পর্শকাতর কক্ষে ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে জানতে চাইলে ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, ‘গ্রেপ্তার তিন কর্মকর্তা আমাদের জানিয়েছেন মালিক পক্ষের সিদ্ধান্তেই ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এ ছাড়া জব্দ করা ক্যামেরার ডিভিআরে বিভিন্ন কক্ষের ফুটেজ থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে ক্যামেরার কোনো ফুটেজের অপব্যবহার হয়েছে কি না সেটি জানতে তদন্ত চলছে।’
তিনি আরও বলেন, মৌখিক অভিযোগকারী নারী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়ায় তিনি লিখিত অভিযোগ করেননি। তবে থানা-পুলিশের অভিযানে স্পর্শকাতর স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা ও সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ভঙ্গের দায়ে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’