Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > ঢাকা

দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে

সনদবাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

দুই দিনের রিমান্ড শেষে শেহেলা পারভীনকে আদালতে হাজির করে গোয়েন্দা পুলিশ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানান। অন্যদিকে তাঁর পক্ষে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।

বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন আদালতে মিরপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন। এর আগে শনিবার শেহেলা পারভীনকে আটক করা হয়।

রিমান্ড শেষে পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, কারিগরি বোর্ডের সনদবাণিজ্য মামলার প্রধান আসামি এ টি এম শামসুজ্জামান এবং সহযোগী আসামি সানজিদা আক্তার ওরফে কলি ইতিমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

শামসুজ্জামান জবানবন্দিতে বলেছেন, তিনি পরিদর্শন শাখা থেকে কম্পিউটার সেলের সিস্টেম অ্যানালিস্ট হিসেবে পোস্টিংয়ের জন্য সাড়ে ৫ লাখ টাকা এবং পরবর্তী সময়ে জাল সার্টিফিকেট তৈরি করলে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না মর্মে তিন লাখ টাকা শেহেলা পারভীনকে দিয়েছেন।

এই মামলায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান, সাবেক কর্মচারী ও বর্তমানে শামসুজ্জামানের সনদ তৈরির নিজস্ব কারখানায় নিয়োজিত কম্পিউটারম্যান ফয়সাল হোসেন, গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা আক্তার ওরফে কলি, হিলফুল ফুজুল নামের কারিগরি প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল সরদার গোলাম মোস্তফা ও যাত্রাবাড়ীর ঢাকা পলিটেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মাকসুদুর রহমানকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের একাধিক দল ১ এপ্রিল ভোররাত থেকে নজরদারিতে রেখে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিরপুরের দক্ষিণ ও মধ্য পীরেরবাগ এবং আগারগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামান এবং তাঁর সহযোগী ফয়সাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় কাছাকাছি দুটি বাসায় তাঁদের হেফাজত থেকে একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চুরি করে নেওয়া হাজার হাজার অরিজিনাল সার্টিফিকেট এবং মার্কশিটের ব্ল্যাংক কপি, তৈরি করা শতাধিক সনদ এবং ট্রান্সক্রিপ্ট, বায়োডাটা ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল উদ্ধার করা হয়। এসব কম্পিউটার প্রিন্টার ল্যাপটপ দিয়ে গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি আসল সনদ, মার্কশিট বানিয়ে ভুয়া লোকদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে।

নকল সার্টিফিকেটও ওয়েবসাইটে দেখা যেত

এ ছাড়া সরকারি ওয়েবসাইটে, সরকারি পাসওয়ার্ড, অথরাইজেশন ব্যবহার করে ভুয়া লোকদের কাছে বিক্রি করা সনদগুলোকে বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। ফলে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যেকোনো দেশে বসে এই ওয়েবসাইটে গিয়ে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বরগুলোকে সার্চ করলে সার্টিফিকেটগুলো সঠিক বলে প্রমাণিত হবে।

এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশ বাদী হয়ে ১ এপ্রিল মিরপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করে।

নিষিদ্ধ ব্রাহমা গরুর খামারি সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান গ্রেপ্তার

র‍্যাবের মাদকের মামলায় খালাস পেলেন ডা. ঈশিতা

ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে বাস উল্টে খাদে, নারী নিহত

রাখাল রাহার বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলা, তদন্তে সিআইডি

কেয়া গ্রুপের দুই কারখানার ২২০০ শ্রমিক ছাঁটাই, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

আন্দোলন প্রত্যাহার করে রাজধানী ছাড়ছেন প্রাথমিকের ৬৫৩১ শিক্ষক

অর্থ পাচার মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা বরখাস্ত

সাভারে রোজায় কর্মঘণ্টা কমানোর দাবিতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

মৃত্যুর আগপর্যন্ত আর রাজনীতি করবেন না: আদালতকে বললেন কামাল মজুমদার

রাজধানীতে আবাসিক হোটেলে আগুন, ৪ জনের লাশ উদ্ধার: ফায়ার সার্ভিস