সাড়ে তিন মাসে স্কুল শিক্ষার্থীদের দিয়ে শুরু হয়েছিল ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি। এরই মধ্যে ১ কোটি ৪০ লাখ শিশু শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে। এবার স্কুলশিক্ষার্থী ছাড়াও মাদ্রাসা ও ১২ বছরের বেশি বয়সের সব শিশুকে টিকাকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এখন থেকে নিকটস্থ যেকোনো কেন্দ্রে জন্মসনদ নিয়ে গেলেই টিকা নিতে পারবেন শিশুরা।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসে (বিসিপিএস) করোনা ভ্যাকসিন এবং করোনা পরিস্থিতি বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের হাতে এই মুহূর্তে ৯ কোটি টিকা আছে, যা দিয়ে ৪ কোটি মানুষের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে। এত দিন আমরা শুধু স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়েছি, এখন ১২ বছরের বেশি যেকোনো শিশুই টিকা নিতে পারবে।
জাহিদ মালেক বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বাংলাদেশেও একই মাত্রায় বিস্তার ঘটছে। ওমিক্রনের প্রভাবে আগের তুলনায় ২০ গুণ শনাক্ত বেড়েছে। একই সঙ্গে মৃত্যু বেড়েছে ৪ গুণের বেশি। সংক্রমণ বাড়লে মৃত্যুও বাড়বে, এটা হতে দেওয়া যাবে না।
ওমিক্রনকে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওমিক্রনের আগে দেশের সব হাসপাতালে দুই থেকে আড়াই শ রোগী ছিল, যা এখন আড়াই থেকে তিন হাজারে দাঁড়িয়েছে। এটি আরও বাড়তে থাকবে।
টিকা দেওয়ার ফলে মৃত্যু কমেছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, যেখানে ভারতে গতকাল ৮০০ জন মারা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে হাজারের বেশি, সেখানে আমাদের দেশে এখনো নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। এটি কমাতে হলে টিকা নেওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যে হারে আক্রান্ত দেখা যাচ্ছে, এর প্রকৃত অবস্থা অনেক বেশি। অফিস অর্ধেক লোক দিয়ে চালানো হচ্ছে, কিন্তু অন্য সবখানে মানুষের ভিড় লেগেই আছে।