নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে রাজধানীর বনানীতে সেতু ভবনে হামলা, ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিক রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
বিকেলে ডা. ফরহাদকে আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের পরিদর্শক আবু সাইদ মিয়া ১০দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
অন্যদিকে আসামি পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতের বনানী থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে গতকাল শুক্রবার ডা. ফরহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৮ জুলাই প্রতিদিনের মতো সেতু ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথারীতি অফিসের কাজ করছিল। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অজ্ঞাতপরিচয়ের ২৫০–৩০০ জন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নাশকতা করার লক্ষ্যে বেআইনি জনতাবদ্ধে আবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে অফিসের সামনে এসে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
সেতু ভবনের সিনিয়র সচিবসহ কর্মকর্তাদের পদ–পদবি উল্লেখ করে খোঁজাখুঁজি করে হুমকি প্রদর্শন ও ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তর্ঘাতমূলক ভীতি সৃষ্টি করে সেতু ভবন লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।
একপর্যায়ে আসামিরা অফিসের মূল ফটক ভেঙে অনধিকার প্রবেশ করে সেতু ভবনের নিচতলায় ভবনের সামনে রক্ষিত জিপ, কার, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, পিকআপ, মোটরসাইকেল, নিরাপত্তা ভবন, সিসি ক্যামেরা, পার্কিং শেড, ক্যানটিন, গাড়িচালকদের কক্ষ, আনসার শেড, মুজিব কর্নার, জেনারেটরস কক্ষসহ মূল ভবন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ঘটায়। তারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করে। অফিসের বিভিন্ন কাগজপত্র পুড়িয়ে ফেলে এবং বিভিন্ন আসবাব লুট করে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীদের দেওয়া আগুনে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার মালামাল ভস্মীভূত হয়।
এ ঘটনায় সেতু ভবনের তত্ত্বাবধায়ক (কেয়ারটেকার) রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলা করেন।