টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বেদেপল্লিতে ঘুঘু, শালিক, বকসহ বিভিন্ন পাখি ধরে খাওয়া হয়। উপজেলার ভূঞাপুর–তারাকান্দি সড়কের পশ্চিমে যমুনা নদীর তীরে শাখারিয়া এলাকায় সম্প্রতি অস্থায়ী বসতি গড়া বেদেপল্লিতে এ দৃশ্য দেখা যায়।
গতকাল রোববার বিকেলে বেদেপল্লি ঘুরে দেখা গেছে, ১০ দিন আগে ১৫–২০টি বেদে পরিবার অস্থায়ী ছাউনি তুলে আস্তানা গেড়েছে। প্রতিটি ছাউনির সামনে মাটির চুলায় চলছে রান্নার প্রস্তুতি। কেউ সাপ দেখভালে ব্যস্ত। কেউ শিকার করে আনা পাখির মাংস কেটে রান্নার জন্য প্রস্তুত করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেদে সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি জানান, তাঁদের মধ্যে একটি গ্রুপের কাজ বাটুল দিয়ে পাখি শিকার করা। তাঁদের কাছ থেকে অন্য বেদেরা পাখি কিনে নিয়ে রান্না করে খায়।
শিকার করা ঘুঘু ও শালিক পাখি কাটার দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করতে গেলে ও পাখি নিধন দণ্ডনীয় অপরাধ জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে বেদে সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ এগুলো কিনে এনেছি, যারা এগুলো শিকার করেছে—তাদের পারলে কিছু করেন।’
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল মোর্শেদ বলেন, ‘পাখি নিধন করা দণ্ডনীয় অপরাধ, এখনই সংশ্লিষ্ট পুলিশ ফাঁড়িকে বিষয়টি জানাচ্ছি—তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসফিয়া সিরাত মোবাইল ফোনে বলেন, ‘বিষয়টি প্রথম আপনার কাছে জানলাম। বেদেপল্লিতে পাখি নিধন বন্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’