নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাইড শেয়ারিংয়ে বাইকের ক্ষেত্রে প্রতি ট্রিপে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ১৫০ টাকা এবং কারের ক্ষেত্রে ২০০ টাকা করার দাবিসহ ১৫ দফা দাবি জানিয়েছেন চালকেরা। আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও কর্মবিরতি পালনকালে তাঁরা এসব দাবি জানান।
ঢাকা রাইড শেয়ারিং ড্রাইভারস ইউনিয়ন, সম্মিলিত রাইডারস ড্রাইভারস অব চট্টগ্রাম এবং সিলেট কোথায় যাবেন রাইড শেয়ারিং গ্রুপের ব্যানারে চালকেরা এই মানববন্ধন ও কর্মবিরতি কর্মসূচিতে অংশ নেন।
মানববন্ধনে চালকেরা বলেন, ‘যাত্রীদের অভিযোগ আমরা বেশি ভাড়া নিই। কিন্তু যানজট ও অন্যান্য অজুহাতে যে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয় সেই টাকা আমরা পাই না। তা পায় অ্যাপস কোম্পানি। অ্যাপসের বিভিন্ন অযৌক্তিক নীতিমালার কারণে আমরা কম টাকা পাই। যা আমাদের ন্যায্য ভাড়ার চেয়ে কম।’
মানববন্ধনে ঢাকা রাইড শেয়ারিং ড্রাইভারস ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হালিম তালুকদার বলেন, আধুনিক অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ার পরিষেবা দিন দিন ব্যাপক বাণিজ্যিক রূপ ধারণ করছে। কিন্তু রাইড শেয়ারিং মালিক কর্তৃপক্ষ চালক ও যাত্রীদের যুক্তিসংগত সেবা প্রদান করছে না। ২০২১ সালে উবারের রাইড শেয়ারে ভোক্তাদের কাছ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে। ১ সেপ্টেম্বর উবার কোম্পানি নতুন পলিসি প্রকাশ্য করেছে। সেখানে তারা রাইডের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়ভার রেখেছে চালক ও যাত্রীদের ওপর, যা অযৌক্তিক।
চালকদের অভিযোগ, উবার তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী কমিশন নিচ্ছে। চালকদের ডেটা বিদেশে পাচার করছে। উবারের নতুন নীতিমালাটি সম্পূর্ণ ইংরেজিতে হওয়ায় সেটা তাদের বোধগম্য নয়।
রাইডে শেয়ারিং চালকদের উল্লেখযোগ্য দাবি হলো মোটরযানের মালিক ও চালকদের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি করতে হবে। আইডি বন্ধের এক মাস আগে লিখিত নোটিশের মাধ্যমে চালক বা গাড়ির মালিককে জানাতে হবে। অভিযোগ প্রমাণ ছাড়া কোনো আইডি বন্ধ করা যাবে না। আগে থেকে বন্ধ সব আইডি খুলে দিতে হবে। রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক চালক ও যাত্রী উভয়ের ঝুঁকিবিমা নিশ্চিত করতে হবে; সব রাইড শেয়ার কোম্পানিকে ড্রাইভারদের শ্রমিক হিসেবে মর্যাদা এবং অধিকার দেওয়াসহ ঢাকা চট্টগ্রাম, সিলেটসহ সব বিভাগীয় শহরে পর্যাপ্ত পার্কিংয়ের ব্যবস্থা এবং বেআইনি পুলিশি হয়রানি বন্ধ করতে হবে।