আজ মঙ্গলবার আরেকটি মাহেন্দ্রক্ষণ। উদ্বোধন হচ্ছে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মাওয়া প্রান্তে রেলপথ উদ্বোধনের পর ট্রেনে পদ্মা পাড়ি দিয়ে ভাঙ্গায় যাবেন। সেখানে তিনি সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের প্রায় সাড়ে ১৫ মাস পর এই সেতু দিয়ে রেল যোগাযোগের দ্বার খুলছে। তবে যাত্রীবাহী বাণিজ্যিক ট্রেন চলবে আগামী নভেম্বর মাস থেকে।
ঢাকা-ভাঙ্গা পথে রেলওয়ে কমিটি আন্তনগর ট্রেনের শোভন চেয়ারের (নন-এসি) ভাড়ার প্রস্তাব করেছে ৩৫০ টাকা, যা এই পথের বাসভাড়ার চেয়ে ১০০ টাকা বেশি। ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথ ৮২ কিলোমিটার। পাড়ি দিতে সময় লাগবে দেড় ঘণ্টার মতো। পরীক্ষামূলক চলাচলে ট্রেনের গতি ছিল ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক (ঢাকা-ভাঙ্গা) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ জানান, উদ্বোধন ঘিরে আইনশৃঙ্খলাসহ যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, শুরুতে তিনটি স্টেশনে ট্রেন থামবে। এগুলো হচ্ছে মাওয়া, পদ্মা (জাজিরা) ও শিবচর। মুন্সিগঞ্জের নিমতলা স্টেশনও চালুর চেষ্টা চলছে। উদ্বোধন উপলক্ষে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত সব রেলস্টেশন সাজানো হয়েছে।
২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পে ব্যয় হবে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। ভাঙ্গা-যশোর (৮৭ কিলোমিটার) অংশের কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২৪ সালের ৩০ জুন।