ইউরোপ, আমেরিকাসহ উন্নত দেশে পাঠানোর নামে জনপ্রতি ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা নিতেন। ভুয়া ভিজিটিং কার্ড বানিয়ে নিজেদেরকে সহকারী সচিবসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাও দাবি করতেন। মানুষের কাছে থেকে হাতিয়ে নেওয়া টাকা দিয়ে রাতারাতি করেছেন গাড়ি–বাড়ি। আসলে তাঁরা মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য। শেষ রক্ষা হয়নি তাঁদের। অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছেন তাঁরা।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা জানান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জহিরুল ইসলাম ও আবু ইয়ামিন। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, চক্রটি আল আরাফাত ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর নামক ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করত। তাই ভুক্তভোগীদের কাছে থেকে টাকা নেওয়ার পর উধাও হয়ে যান।
গ্রেপ্তার জহিরুলের বাড়ি ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানায়। আর ইয়ামিনের বাড়ি ময়মনসিংহ শহরের কাওয়ালাটি ফকিরবাড়ি এলাকায়। চক্রটি রাজধানীর গুলশানের ইউনিকর্ন প্লাজার ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করত। মোট ১৫ থেকে ২০ জনের এই চক্রের বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।