নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
যারা প্রাণীকে সেবা দেয়, তাঁদের সেবাকেও জরুরি সেবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘জার্নালিস্ট ফেলোশিপ প্রোগ্রামের আওতায় নিবিড় প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান এ কথা বলেছেন।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য খাতে জরুরি বিভাগ রয়েছে। যেকোনো রোগীকে সেখানে প্রথম সেবা দেওয়া হয়। প্রাণিসম্পদ খাতেও জরুরি সার্ভিসের প্রয়োজন রয়েছে। প্রাণী সম্পদের সম্ভাবনাকে সুষ্ঠুভাবে কাজে লাগাতে হলে যারা প্রাণীকে সেবা দেয়, তাঁদের সেবাকেও জরুরি সেবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এ খাতকে সামনে নিয়ে যেতে হলে এটি দরকার।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরও বলেন, কোরবানিতে চাহিদা অনুযায়ী গবাদিপশুর জোগান দেওয়ার ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। দেশবাসী এবার ঈদুল আজহা শান্তিপূর্ণভাবে উপভোগ করতে পারবে। কোনো ধরনের চিন্তার কারণ নেই।
চামড়া প্রাণিসম্পদের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর দাম নির্ধারণ, প্রক্রিয়াকরণ, ও বাজারজাতকরণের কাজে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘প্রাণিসম্পদকে আরও বড় সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে হবে। আপনাদের কলমে, কালিতে, কথায় এই খাতকে সামনে আনতে পারেন, তাহলে আমরা উপকৃত হব।’
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন—মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল, টিভি টুডের প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, ডিবিসি নিউজের এডিটর প্রণব সাহা, এলডিডিপি প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম, এলডিডিপির চিফ কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রাব্বানী প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর।