রাজধানীর তুরাগে বাসা থেকে খাদিজা আক্তার (১৪) নামের এক কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করত।
তুরাগ থানাধীন পুরান বাজার এলাকার ৬ নম্বর সড়কের ৬ নম্বর হানিফ আলীর বাসা থেকে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ওই কিশোরী ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার উত্তর রসুলপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার মেয়ে। তুরাগের হানিফ আলীর ভাড়া বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ ধরে বসবাস করে আসছিল।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, সম্প্রতি তার বাবা-মা খাদিজাকে ফুফু ও দাদির কাছে রেখে তাঁরা গ্রামে চলে যান। এদিকে খাদিজা একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করত।
হঠাৎ করে আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে খাদিজাকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলতে দেখে পরিবার। পরে পুলিশ খবর পেয়ে এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পারিবারিক কোনো কোন্দলের কারণে সে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
এ বিষয়ে তুরাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহামেনুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরের ভিত্তিতে ভাড়া বাসা থেকে খাদিজা আক্তার নামে ১৪ বছর বয়সী এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এসআই মোহামেনুর বলেন, তার শরীরের কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সে আত্মহত্যা করেছে। তবে আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। এ ঘটনায় তুরাগ থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।