হোম > সারা দেশ > ঢাকা

স্ত্রী-ছেলেসহ নাফিজ সরাফতের ২২ ফ্ল্যাট, বাড়ি ও জমি ক্রোকের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬: ০৬
আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯: ৪৯
চৌধুরী নাফিজ সরাফত। ফাইল ছবি

পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফত, তাঁর স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহিদ, ছেলে চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সরাফাতের নামে থাকা ২২টি ফ্ল্যাট, বিভিন্ন স্থানে থাকা প্লট ও জমি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের দুদক বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

ক্রোক করা সম্পদের মধ্যে নাফিজ সরাফাতের নামে গুলশানের ২০ তলা বিশিষ্ট একটি বাড়ি, গুলশানের একটি, ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট বাজারের চারটি, নিকুঞ্জ উত্তর আবাসিক এলাকায় ৩টি ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি ফ্ল্যাটের ৫০ শতাংশ, নিকুঞ্জের একটি প্লট, বাড্ডার কাঠালদিয়ার আড়াই কাঠা, গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ১০ কাঠা করে ২০ কাঠা জমি, গাজীপুর সদরে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ জমি, নিকুঞ্জরের জোয়ার সাহারায় ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ জমি ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রাজউক পূর্বাচল প্লটে সাড়ে ৭ কাঠা জমি রয়েছে।

আঞ্জুমান আরা শহিদের নামে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সাড়ে সাত কাঠা জমির ওপর চারতলা বাড়ি, পান্থপথে একটি, গুলশানে ২ টি, মিরপুর ডিওএইচএস এ একটি, শাহজাদপুরে একটি ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি ফ্ল্যাটের ৫০ শতাংশ, নিকুঞ্জে তিন কাঠা জমি, বাড্ডার কাঠালদিয়া আড়াই কাঠা জমি ও গাজীপুর সদরে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ জমি রয়েছে।

রাহিব সাফওয়ান সরাফাতের নামে বনানীতে থাকা তিনটি ও বারিধারায় থাকা চারটি ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুদকের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান এসব স্থাবর সম্পদ ক্রোকের আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, নাফিজ সরাফত ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা ও নিজেদের মাধ্যমে একে অপরের যোগসাজশে প্রায় ৮৮৭ কোটি টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগের ওপর অনুসন্ধান চলমান। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিষয়ে সংগৃহীত তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, চৌধুরী নাফিজ সরাফত, তাঁর স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহিদ এবং তার ছেলে চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সরাফতের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাবর সম্পত্তির তথ্য পাওয়া গেছে ও তাঁরা পলাতক রয়েছেন।

প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত স্থাবর সম্পত্তিসমূহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সম্পৃক্ত অপরাধ তথা দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত/বৈধ আয় বহির্ভূতভাবে অর্জন করা হয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহের সঙ্গে তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে সম্পদ অর্জনের বিষয়টি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও (৩) ধারা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা স্থাবর সম্পত্তিসমূহ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর, বন্ধক বা বেহাত করার জন্য বিভিন্ন প্রচেষ্টা করছেন বলে বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়। সম্পত্তিগুলো হস্তান্তর বা স্থানান্তরের ফলে অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। তাই অভিযোগ সংক্রান্ত অনুসন্ধান কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এসব স্থাবর সম্পত্তিসমূহ অবিলম্বে ক্রোক করা আবশ্যক।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আটটি মুখপোড়া হনুমান উদ্ধার

জাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক বাবর, সদস্যসচিব অনীক

ডিবির হারুন ও তাঁর ভাই শাহরিয়ারের আয়কর নথি জব্দের আদেশ

পিলখানা হত্যাকাণ্ড পুনঃ তদন্তের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে যাত্রা